করোনা পরবর্তী অর্থনীতির পরিকল্পনা! ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে হতে পারে ৭৫ হাজার কোটির সাহায্য
দেশের ছোট ও মাঝারি শিল্প, যেখানে বেশি সংখ্যায় শ্রমিক জড়িয়ে রয়েছে, সেসব ক্ষেত্রের জন্য ৭৫ হাজার কোটি টাকার সাহায্য ঘোষণা করতে পারে কেন্দ্র।
দেশের ছোট ও মাঝারি শিল্প, যেখানে বেশি সংখ্যায় শ্রমিক জড়িয়ে রয়েছে, সেসব ক্ষেত্রের জন্য ৭৫ হাজার কোটি টাকার সাহায্য ঘোষণা করতে পারে কেন্দ্র। দেশের করোনা পরবর্তী সময়ে এই টাকা খরচ করার চিন্তাভাবনা চলছে। জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই সরকারি আধিকারিক। তবে কোনও কিছুই এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মাইক্রো, স্মল, মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজগুলিকে সাহায্য করার কথা ভাবা হয়েছে। এই টাকা দিয়ে তারা বাকি থাকা অর্ডারের কাজ শেষ করতে পারবে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে সরকার। এই সাহায্যের মাধ্যমেই অর্থনীতিতে গতি আনা সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কেন্দ্রীয় সাহায্যেরক একটা অংশ ব্যয় করা হতে পারে বড় শিল্প ও রপ্তানিতে সাহায্য করার জন্য। তবে এই মুহুর্তে অনেক প্রস্তাব সরকারের সামনে রয়েছে। যা নিয়ে বিচার বিবেচনার কাজ চলছে।
দেশব্যাপী করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা অনেক আগে থেকেই অর্থনীতির গতি ছিল শ্লথ। এরপর করোনা ভাইরাসে প্রভাব পড়ায় শিল্প ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। ধরে নেওয়াই হচ্ছে ভারতের অর্থনীতি ২০২০-২১ সালে সব থেকে শ্লথ হয়ে চলবে। অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ২ শতাংশে নেমে যাবে। যা ৩০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২৪ মার্চ ঘোষণা করেন পরের দিন থেকে ২১ দিনের লকডাউনের কথা। তবে এখনও ১৪ এপ্রিল থেকে লকডাউন উঠবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চতা তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে লকডাউন চালিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন আগামী ২-৩ সপ্তাহ যদি লকডাউন চালিয়ে যাওয়া যায়, তাহলে কোভিড-১৯-এর গ্রাফটা অনেকটাই নিচে নেমে আসবে।