ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারতে ফিরবেন অভিনন্দন, বড় জয়ে আত্মতৃপ্ত বায়ুসেনা
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সংসদে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেছেন ভারতের বায়ুসেনা কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সংসদে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেছেন ভারতের বায়ুসেনা কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে ছেড়ে দেওয়া হবে। শুক্রবার অভিনন্দনকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হবে। সেইমতো পঞ্জাবের ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে অভিনন্দন ভারতে প্রবেশ করবেন। তাঁকে ছাড়ার সিদ্ধান্তকে বড় জয় হিসাবেই দেখছে বায়ুসেনা।
পাকিস্তান যতই শান্তির বার্তা দিয়ে অভিনন্দনকে ছাড়ার কথা বলুক না কেন, বায়ুসেনা বলছে, জেনেভা চুক্তি মেনেই বায়ুসেনা কম্যান্ডারকে ছাড়তে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান। কারণ তার আগেই জেনেভা চুক্তি লঙ্ঘন করে ফেলে বিপদে পড়ে গিয়েছিল ইমরান খানের দেশ।
নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাকিস্তানের এফ-১৬ বিমান তাড়া করে পাক অধীকৃত কাশ্মীরে চলে গিয়েছেন অভিনন্দন। বুধবার সকালে ৯টা ৪৫ মিনিট নাগাদ সীমান্তে উচ্চ সতর্কতা জারি হয়। পাকিস্তান সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকতে পারে বলে আগাম আঁচ করা হয়েছিল। রাডারে তা ধরাও পড়ে। এরপরে সকাল ১০টা নাগাদ পাকিস্তানি বায়ুসেনার তিনটি এফ-১৬ বিমান ভারতীয় সীমানায় নৌশেরা সেক্টরে ঢুকে পড়ে ও বোমা ফেলে।
সতর্ক বায়ুসেনা সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা প্রস্তুতি নিয়ে ফেলে ময়দানে নেমে পড়ে। মিগ-২১ বাইসন নিয়ে তৈরি অভিনন্দন বেরিয়ে যান। পাকিস্তানের টার্গেট ছিল সেনা ঘাঁটি ও সদর দফতরে হামলা চালানো। তার পাল্টা ভারত দুটি মিগ-২১ ও একটি সুখোই ৩০ এমকেআই নামায়। অভিনন্দন যে মিগ-২১ চালাচ্ছিলেন তা যথাসময়ে পৌঁছে এই-১৬ বিমানের আক্রমণ রুখে দেয়।
পাকিস্তানি এফ-১৬-র পিছনে পড়ে ছিলেন অভিনন্দন। মাঝ আকাশে তখন তুমুল লড়াই করে এফ-১৬কে কব্জা করে নিয়েছিলেন অভিনন্দন। আর-৭৩ এয়ার টু এয়ার ক্ষেপণাস্ত্রও ছোঁড়েন। যার ফলে পাকিস্তানি এফ-১৬ আছড়ে পড়ে মাটিতে। তবে একইসঙ্গে অভিনন্দনের বিমানের ডানায় ধাক্কা লাগে। যার ফলে তাঁকে বাধ্য হয়ে নামতে হয় ও তিনি গিয়ে পড়েন পাক অধীকৃত কাশ্মীর অংশে। সেখানেই পাক সেনা তাঁকে হেফাজতে নেয়।