'বিজেপি-র রাজ্যপালরা' অসাংবিধানিক! নজিরবিহীন আক্রমণ কংগ্রেস নেতা চিদাম্বরমের
রাজ্যপালের পদ একটি সাংবিধানিক পদ। সেই পদের মর্যাদা রক্ষা করা যেমন সেই পদে থাকা ব্যক্তির, তেমনই সব পক্ষের সরকার ও রাজনৈতিক দলেরও। এবং সাধারণত রাজ্যপালদের সঙ্গে সংঘাত হলেও সেটা কটু কথায় যায় না খুব একটা। সেরম হলে আদালতে মামলা হয়। তবে এবার বিজেপির নিযুক্ত সকল রাজ্যপালকে একাধারে আক্রমণ করলেন কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম।
অরুণাচল, কর্নাটক, উত্তরাখণ্ডের উদাহরণ টেনে বিজেপিকে তোপ
এদিন রাজস্থানের প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন, '২০১৪ সাল থেকেই আমরা দেখে এসেছি যে বিজেপির নিযুক্ত রাজ্যপালরা ভারতের সংবিধানের মূল ভিত্তি ও ধারণাকে অগ্রাহ্য করে এসেছেন। এভাবে তাঁরা সংসদীয় গণতন্ত্রকে পঙ্গু করে দিয়েছেন। অরুণাচলপ্রদেশ, কর্নাটক, উত্তরাখণ্ড একের পর এক উদাহরণ রয়েছে এর।'
রাজস্থানের পরিস্থিতি নিয়ে সরব চিদাম্বরম
এরপর চিদাম্বরম বলেন, 'এর আগে একই রকম মামলার ক্ষেত্রে যে রায় দেওযা হয়েছে, সেগুলি দেখলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে রাজস্থানে যা ঘটছে, তা ঠিক নয়। রাজস্থানের রাজ্যপাল পুরো পরিস্থিতিটাকে থমকে দিয়েছেন। সরকারের মন্ত্রীদের এই ন্যায্য দাবি বারংবার প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি।'
শেষ পর্যন্ত বিধাসভার অধিবেশন ডাকলেন রাজ্যপাল
এদিকে এদিন দীর্ঘ টালবাহানার পর শেষ পর্যন্ত এদিন বিধাসভার অধিবেশন ডাকার অশোক গেহলটের প্রস্তাবে সায় দিলেন রাজস্থানের রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র। পাশাপাশি কংগ্রেসের দাবি উড়িয়ে রাজ্যপাল জানিয়ে দেন যে তিনি কোনও ভাবেই এই অধিবেশন ডাকার বিষয়টি নিয়ে টালবাহানা করছিলেন না। যদিও এদিনও সকালে একবার গেহলটের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। ৩১ জুলাই থেকে বসবে এই অধিবেশন।
রাজস্থানে রাজনৈতিক পরিস্থিতি টালমাটাল
রাজস্থানে রাজনৈতিক পরিস্থিতি টালমাটাল৷ এই অবস্থায় বিধানসভায় নিজেদের সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে মরিয়া কংগ্রেস৷ তবে তার জন্য প্রয়োজন অধিবেন ডাকা। অবশ্য সেই অধিবেশন ডাকতে নারাজ ছিলেন রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র। কিন্তু নাছোড়বান্দা অশোক পাইলটও ছাড়ার পাত্র নয়। তবে রাজ্যপাল এদিনও গেহলটের অধিবেশন ডাকার আবেদন ফিরিয়ে দেন। এরপর দুপুর নাগাদ অধিবেশন ডাকতে সম্মত হন।
পাইলটকে বের করতে মরিয়া গেহলট
সচিন পাইলট ও ১৮ জন কংগ্রেস বিধায়কের বিরুদ্ধে দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ তুলে নোটিস পাঠিয়েছিলেন রাজস্থান বিধানসভার স্পিকার। স্পিকারের সেই নোটিসের বিরোধিতা করে রাজস্থান হাইকোর্টে যান প্রাক্তন সচিন পাইলট ও ১৮ জন বিধায়ক। এরপরই সুপ্রিম কোর্টে যান অধ্যক্ষ। তাঁর বক্তব্য, বিধানসভার বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে না হাইকোর্ট। গতকাল তাঁর আর্জি খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, সিদ্ধান্ত জানাতে পারবে রাজস্থান হাইকোর্ট। সেই মতো শুক্রবার সকালে শুনানি শুরু হয়। আর তাতে জয় হয় সচিনের।
সচিনের বিরুদ্ধে গেহলটের চাল
এরপরই সচিনকে দল থেকে সরানোর লক্ষ্যে বিধানসভা অধিবেশন ডাকার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন অশোক গেহলট। কারণ সেখানে আস্থা ভোট হলে হুইপের নির্দেশে পাইলট পন্ধীদের অশোক গেহলটকেই ভোট দিতে হবে। আর তা না করলে বা ভাটোভুটি থেকে অনুপস্থিত থাকলে দলবিরোধী কাজের দায়ে তাঁদের বহিষ্কার করার ক্ষমতা থাকবে স্পিকারের হাতে।