পুর-নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরের দিনেই অমিত শাহের দরবারে জগদীপ ধনখড়, বৈঠক ঘিরে জল্পনা
ভোটের নামে প্রহসন, অবাধ সন্ত্রাস। এই অভিযোগে পুরভোটের দিনেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু অধিকারী সহ বিরোধীরা। নির্বাচনে অশান্তি নিয়ে তাঁর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। আর এরপরেই প্রত্যাশা মতোই
ভোটের নামে প্রহসন, অবাধ সন্ত্রাস। এই অভিযোগে পুরভোটের দিনেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু অধিকারী সহ বিরোধীরা। নির্বাচনে অশান্তি নিয়ে তাঁর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। আর এরপরেই প্রত্যাশা মতোই মঙ্গলবার পুরনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হতেই ব্যাপক জয় তৃণমূলের।
আর এরপরেই অমিত শাহের দরবারে রাজ্যপাল। যা নিয়ে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে। তবে কলকাতা পুরসভার ১৪৪ টি আসনের ফল সামনে আসার পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলার রাজ্যপালের এই বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
ঝটিকা সফরে হঠাত করেই দিল্লি উড়ে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আর এরপরেই তাঁর সোশ্যাল মিডিয়াতে টুইট করে অমিত শাহের সঙ্গে তাঁর বৈঠকে বসার কথা জানান রাজ্যপাল। সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে এই বৈঠক হয়। প্রায় ৪৫ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে চলে সেই বৈঠক। বৈঠক শেষে ফের একটি শাহের সঙ্গে দাঁড়ানো ছবিও টুইট করেছেন রাজ্যপাল ধনখড়। তবে কি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে স্পষ্ট ভাবে কিছু জানাননি তিনি।
তবে মনে করা হচ্ছে, পুরনির্বাচনে যে অবাধ সন্ত্রাস হয়েছে সে বিষয়ে অমিত শাহকে বিস্তারিত তথ্য দিতে পারেন ধনখড়। শুধু তাই নয়, পুরনির্বাচনের দিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উপর পুলিশ হাত দেয় বলে অভিযোগ। ঘিরে রাখা হয় তাঁর বাড়ি। শুধু বিরোধী দলনেতার বাড়িই নয়, এমএলএ হোস্টেলে বিজেপি বিধায়কদেরও তালা বন্ধ করে রাখা হয় বলে অভিযোগ। সেই সমস্ত বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনের সঙ্গে রাজভবনের সংঘাত নতুন কিছু নয়। একাধিক বিষয়ে কার্যত দুপক্ষের মধ্যে সংঘাত লেগেই থাকে। সম্প্রতি পেগাসাসে তদন্ত কমিটি গঠন করা নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন জগদীপ ধনখড়। পেগাসাস ঘটনার পরেই তদন্ত কমিশন গঠন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে বিষয়েই রাজ্য প্রশাসনের কাছে তথ্য তলব করেন রাজ্যপাল। কিন্তু না দেওয়াতে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দেন।
শুধু তাই নয়, সংবিধানের ধারাকে উল্লেখ করে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে কড়া চিঠি লেখেন তিনি। সেখানে স্পষ্ট বলেন, সংবিধান অনুযায়ী তথ্য দিতে বাধ্য।
শুধু তাই নয়, বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলন নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানান তিনি। তাও কর্নপাত করা হয়নি বলে অভিযোগ। এই সমস্ত বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে তথ্য দিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও তৃণমূলের তরফে এই বিষয়ে ভাবতে নারাজ। এক নেতার দাবি, উনি বিজেপির লোক। সুতরাং শাহ কেন, নাড্ডার সঙ্গেও বৈঠক করলেও অবাক হব না।