২২ বিধায়কের ইস্তফা! রাজভবনে ফিরেই কমলনাথ সরকারকে ডাকবেন ছুটিতে থাকা রাজ্যপাল
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার কংগ্রেস ত্যাগের পরই মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা থেকে ২২ বিধায়কের ইস্তফার রাজভবনে তৎপরতা তুঙ্গে উঠেছে।
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার কংগ্রেস ত্যাগের পরই মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা থেকে ২২ বিধায়কের ইস্তফার রাজভবনে তৎপরতা তুঙ্গে উঠেছে। মধ্যপ্রদেশের গভর্নর লালজি ট্যান্ডন জানিয়েছেন, তিনি মধ্যপ্রদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছেন এবং ভোপালের রাজভবনে পৌঁছনোর পরই তিনি পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।
ট্যান্ডন বর্তমানে পরিবারের সাথে হোলি উদযাপন করতে লখনউতে রয়েছেন। মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশের পরিস্থিতি আচমকাই বদলে যাওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। রাজভবনে না থাকলেও মধ্যপ্রদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি নজর রাখছেন বলেও জানান।
তিনি কবে ভোপালে ফিরবেন জানতে চাইলে ট্যান্ডন বলেন, পরিবারের সঙ্গে হোলি পালনের জন্য তিনি ১২ মার্চ পর্যন্ত ছুটিতে আছেন। এরপরই ভোপালে ফিরে তিনি শাসকদলকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করার জন্য আহ্বান করবেন। বর্তমানে কমলনাথ সরকার বেকাদায় পড়েছে। ২২ জন বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে।
এদিন রাহুল গান্ধীর ডান হাত বলে পরিচিত জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার কংগ্রেস ছাড়ার পর মধ্যপ্রদেশের কমলনাথ সরকার তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। ইতিমধ্যেই ২২ জন বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছেন। ফলে এই মুহূর্তে মধ্যপ্রদেশে সংখ্যালঘু কংগ্রেস সরকার। ফলে যে কোনও সময়ে কমলনাথের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে পারে বিজেপি।
মধ্যপ্রদেশের ২৩০ বিধায়কের মধ্যে দুটি পদশূন্য। অর্থাৎ মধ্যপ্রদেশে বিধায়ক সংখ্যা ২২৮ জন। তার মধ্যে ২০ জনের বিধায়ক পদ খারিজ হবে দলত্যাগ আইনে। অর্থাৎ সংখ্যাটা দাঁড়াবে ২০৮। সেই হিসেবে ম্যাজিক ফিগার হবে অর্ধেকের একটি বেশি অর্থাৎ ১০৫।
কংগ্রেসের আসন সংখ্যা ছিল ১১৪। ২০ জন অপসারিত হওয়ায় তাঁদের শক্তি এক লাফে কমে দাঁড়াচ্ছে ৯৪। সহযোগী ৬ বিধায়কের আবার দেখা নেই। তাঁরা বেপাত্তা রয়েছেন। এই অবস্থায় বিজেপির শক্তি অটুট আছে। অটুট আছে তাদের ১০৭ বিধায়ক।