করোনা টেস্ট নিয়ে কড়া নির্দেশ কেন্দ্রের, ১৪ এপ্রিলের মধ্যে রাজ্যগুলিকে দেওয়া হল কোন টার্গেট?
করোনা টেস্টের আগের গতিপথ থেকে সরে এসেছে আইএমসিআর। গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশে মাত্র ৪২,৭৮৮ জনের উপর করোনা পরীক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। আমেরিকার তুলনায় সংখ্যাটা ১৩ ভাগের ১ ভাগ ছিল। যা প্রয়োজনের থেকে খুবই কম। এদিকে যেই হারে দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ছে তাতে করোনা টেস্ট যদি আরও বেশি করে করা না হয় তবে আসল আক্রান্তদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে না। এর জেরে দেশে করোনা সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়বে।
করোনা পরীক্ষার হার বাড়িয়ে দেওয়া হয় দেশে
এই পরিস্থিতিতে এপ্রিল মাস শুরু হতেই করোনা পরীক্ষার হার বাড়িয়ে দেওয়া হয় দেশে। সীমিত টেস্ট কিটেই আরও বেশি করে পরীক্ষা শুরু হয়ে দেশে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাংবাদিক বৈঠকের সময় উপস্থিত ছিলেন আইএমসিআর-এর প্রতিনিধিও। তিনি সাংবাদিক বৈঠকে জানান, দেশে এখনও পর্যন্ত মোট ১ লক্ষ ৩০ হাজার স্যাম্পেল টেস্ট করা হয়েছে। এদের মধ্যে থেকে ৫৩৭৪টি স্যাম্পেল পজিটিভ।
১৪ এপ্রিলের মধ্যে রাজ্যুগুলিকে নয়া টার্গেট
এবার রাজ্যগুলিকে সেই সংখ্যা আরও বাড়িয়ে প্রায় দ্বিগুণ করতে বলা হল কেন্দ্রের তরফে। তাও আবা মাত্র ৫ দিনে। জানা গিয়েছে কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলির কাছে কড়া নির্দেশ গিয়েছে যে ১৪ এপ্রিলের মধ্যে সারা দেশে করোনা টেস্টের সংখ্যা আড়াই লক্ষের বেশি করতে হবে।
টেস্ট কিট না থাকায় করোনা পরীক্ষা করা যাচ্ছিল না
এর আগে পর্যাপ্ত টেস্ট কিট না থাকায় দেশে করোনা পরীক্ষা করা যাচ্ছিল না ঠিক মতো। যার জেরে দেশে আসল আক্রান্তের সংখ্যার কোনও সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল না। এর আগে আইএমসিআর-এর পরামর্শ অনুযায়ী, কোনও রোগীর উপসর্গ থাকলে তাকে আইসোলেশনে পাঠানো হচ্ছিল। পরবর্তীতে পরিস্থিতি গুরুতর হলে তবেই করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছিল সেই রোগীকে।
নতুন পদ্ধতিতে কী ভাবে চলছে পরীক্ষা?
তবে জানা গিয়েছে, নতুন পদ্ধতিতে সবার আগে সিল করা হয়েছে হটস্পটগুলি। তারপর বাড়ানো হয়েছে নমুনা পরীক্ষার হার। সেই সব চিহ্নিত হটস্পটগুলির বাসিন্দারা সংক্রমিতের সংস্পর্শে না আসলেও করা হচ্ছে তাঁদের পরীক্ষা। যদি তাঁদের শরীরে উপসর্গ দেখা যায়, তবেই হবে নমুনা পরীক্ষা। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছে আইসিএমআর। গত তিন সপ্তাহে পাঁচ ধরনের মানুষের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।