কাশ্মীরবাসীকে অপমান করছে কেন্দ্র, মোদী বৈঠকের পরে কেন্দ্রকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে তোপ ওমর-মেহবুবাদের
কাশ্মীরবাসীকে অপমান করছে কেন্দ্র, মোদী বৈঠকের পরে কেন্দ্রকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে তোপ ওমর-মেহবুবাদের
চলতি সপ্তাহে দেশের একাধিক বড় ঘটনাবলীর মধ্যে শুরুতেই সবার নজর ছিল কাশ্মীরে মোদীর সর্বদলীয় বৈঠকের উপর। এমনকী বৃহঃষ্পতিবারের বৈঠকের আগে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় গোটা উপত্যকা। এদিকে মোদী বৈঠকের আগে কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর দাবিতে ফের সরব হতে দেখা যায় ফারুখ আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতির মতো নেতাদের। এবার বৈঠকের পরেও মোদীর সমালোচনায় ফের মুখ হলেন কাশ্মীরের শীর্ষ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা।
বিশ্বাসঘাতকতা করছে কেন্দ্র
এমনকী বৈঠক থেকে বেরিয়ে ৩৭০ ধারা বিলোপ নিয়ে ফের তোপ দাগতে দেখা যায় জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাকে। তাঁর স্পষ্ট দাবি, ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট ৩৭০ ধারা রদের যে সিদ্ধান্ত কেন্দ্র নিয়েছে তা আমরা মানিনা। এটা আদপেই বিশ্বাসঘাতকতা। প্রধানমন্ত্রীর উচিত কাশ্মীরের হৃত গৌরব, মানুষের বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
সাড়ে তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলে বৈঠক
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বৃহঃষ্পতিবার মোদীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন উপত্যকার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে ১৪ জন নেতা। ছিলেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের সভাপতি ফারুক আবদুল্লা, পিডিপি-র প্রধান মেহবুবা মুফতি সহ জম্মু-কাশ্মীর আপনি পার্টির আলতাফ বুখারি, পিপলস পার্টির সজ্জাদ লোনের মতো নেতারা। ছিল কংগ্রেস, বিজেপির প্রতিনিধিরাও। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলে এই বৈঠক।
৩৭০ ধারা রদের পর প্রথম কাশ্মীরে মোদী
বলে রাখা ভালো ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচন পরবর্তী সময় যখন কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা তুলে নেওয়া হয় তারপর থেকে একাধিকবার উত্তপ্ত হয়েছে ভূস্বর্গ। অশান্তি ঠেকাতে দীর্ঘদিন গৃহবন্দী রাখা হয়েছে একাধিক নেতা-নেত্রীদের। তারপর থেকে বারংবার সর্বদলীয় বৈঠকের কথা উঠলেও তাতে বিশেষ কর্ণপাত করতে দেখা যায়নি মোদী সরকারকে। অবশেষে ৩৭০ ধারা রদের পর এই প্রথম কাশ্মীরে পা রাখলেন মোদী।
কাশ্মীরবাসীকে অপমান করছে কেন্দ্র
সূত্রের খবর, গতকালের বৈঠকে গুলাম নবি আজাদ পরবর্তী নির্বাচনের আগে জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি করেন। কিন্তু সেই দাবির পরেও কার্যত চুপই করেছিলেন মোদী। আর তাতেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওমর আবদুল্লারা। তাদের স্পষ্ট দাবি কাশ্মীরের স্বার্থের বিরুদ্ধে যে সিদ্ধান্তগুলি গিয়েছে সেগুলি ফিরিয়ে নেওয়া উচিত। দ্রুত জম্মু ও কাশ্মীরকে সম্পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দিতে পদক্ষেপ নিতে হবে সরকারকে। অন্যদিকে মেহবুবা মুফতি বৈঠকের পর ফের জানান ৩৭০ ধারা রদ করে এখন তা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটে কাশ্মীরের মানুষকে আদপে অপমান করছেন প্রধানমন্ত্রী। শান্তি ফেরাতে প্রয়োজেন পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা বসার প্রস্তাবও দেন তিনি।