
অতি চালাকি, তিন স্ত্রী'কে ভোটের ময়দানে নামিয়ে বরখাস্ত সচিব
একেই বলে আখের গুছিয়ে নেওয়া। তবে আখের তো অনেকেই গোছানোর চেষ্টা করেন তবে এভাবে সম্ভবত কেউ ভাবে না। একটা টিকিট শুধু লাগতে হবে তাহলেই আর চিন্তা নেই। আর এই টিকিট হলেন এক সরকারি চাকুরের তিন স্ত্রী। নিজের আখের গোছানোর অঙ্ক কষে তিনি তাঁর তিন স্ত্রীকে নামিয়ে দিয়েছেন ভোটের লড়াইয়ে। এবার একজনের ভাগ্য হলেই হল। আর চিন্তা থাকবে না। হল না শেষ রক্ষা।

ঘটনা কি রকম ?
জানা গিয়েছে ঘটনার মূলে রয়েছে মধ্যপ্রদেশের এক ব্যক্তি। তিনি সরকারি করেন। এতে তাঁর আশ মেটেনি। আরও চাই। আসলে আরও চাইতে তো হবেই। তিন তিন জন স্ত্রী। ঘর সামলাতে উপড়ি উপার্জন কোথা থেকে আসবে। তাও এই বাজারে। উপায় একটাই ছিল তাঁর কাছে। সিদ্ধান্ত নেন কোনও একজন স্ত্রীকে পঞ্চায়েত সদস্য বানাতে হবে। কিন্তু তাতে যদি একজন লড়াই করেন তা নাও হতে পারে। বিকল্প তৈরি করে একদম তিনজনকেই ভোটের ময়দানে নামিয়ে দিয়েছেন ওই ব্যক্তি।

কী খবর মিলছে ?
জানা গিয়েছে ওই ব্যক্তি গ্রাম পঞ্চায়েত সচিব। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন, আসলে সচিবের "তিন স্ত্রী" আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিংগ্রাউলি জেলা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সোমবার একজন কর্মকর্তা এমনটাই বলেছেন। তিনি তার তৃতীয় স্ত্রীর বিষয়ে তথ্য গোপন করার পরে এই পদক্ষেপ শুরু করা হয় বলে জানা গিয়েছে।

ঘটনা বেশ জটিল
ওই তিনজন মহিলার যাদের মধ্যে দুজন সরপঞ্চ (গ্রাম প্রধান) পদের জন্য একে অপরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বলে জানা গিয়েছে। অর্থাৎ একটা পদ যে তাঁর ঘরে আসছে তা নিয়ে কোনওন সুন্দেহ নেই। এবার বিষয় হল সব কিছু করে এক জায়গায় খামতি থেকেই গিয়েছে। ভোটের জন্য জমা দেওয়া তাদের মনোনয়ন ফর্মে স্বামী হিসাবে গ্রাম পঞ্চায়েত সচিব সুখরাম সিং-এর নাম উল্লেখ করেছেন তাঁরা। আর তাতেই হয়ে গিয়েছে গণ্ডগোল ।
দেওসার জনপদ পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বি কে সিং জেলা পঞ্চায়েতের সিইও-র কাছে একটি অভিযোগ জমা দিন। তাঁর ভিত্তিতে খোঁজ নিয়ে বরখাস্ত করা হয় সুখরাম সিং নামে ওই ব্যক্তিকে। তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

কী বলছে প্রশাসন ?
বিকে সিং বলেছেন, বিভাগের সমস্ত কর্মচারীদের তাদের পরিবারের সদস্য বা আত্মীয়দের পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়ে তথ্য দিতে বলা হয়েছিল। সুখরাম সিং, যিনি আগে ঘোঘরা গ্রাম পঞ্চায়েতে নিযুক্ত ছিলেন, যেটি এখন সরাই নগর পরিষদের অংশ হয়ে উঠেছে, পঞ্চায়েত এবং গ্রামীণ উন্নয়ন বিভাগকে তার দুই স্ত্রী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা জানিয়েছিলেন, কিন্তু তৃতীয় একজন গীতা সম্পর্কে তথ্য গোপন করেছিলেন।
রিপোর্ট অনুসারে, সুখরাম সিংয়ের দুই স্ত্রী কুসুকালী সিং এবং গীতা সিং পিপারখাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের সরপঞ্চ পদে একে অপরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গীতা সিং আগে এই গ্রামের সরপঞ্চ ছিলেন।সুখরাম সিংয়ের আরেক স্ত্রী, উর্মিলা সিংও পেড্রা থেকে জনপদ পঞ্চায়েত সদস্যের জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এতেই হয়ে গিয়েছে গণ্ডগোল।
প্রকাশিত অগ্নিবীর নিয়োগের সময়সূচী, কবে থেকে করা যাবে রেজিস্ট্রেশন? জেনে নিন