অভুক্ত পরিযায়ী শ্রমিকরা, দেশের অতিরিক্ত চাল ব্যবহার হবে স্যানিটাইজার তৈরিতে!
করোনা ভাইরাসের দাপটে স্যানিটাইজারের চাহিদা এখন তুঙ্গে। স্যানিটাইজারকে ইতিমধ্যেই অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রি হিসেবে ঘোষণা করেছে মোদী সরকার। কোনওরকম কালোবাজারি করলে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে দোষীর।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর কেন্দ্র
এদিকে এই করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার সব রকম প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে যাতে এই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। এবার সেই পদক্ষেপ মোতাবেকই দেশে মজুত থাকা অতির্কিত চাল থেকে ইথআনল তৈরি করে তা স্যানিটাইজার বানানোর কাজে লাগানো হবে বলে জানানো হল কেন্দ্রের তরফে।
হ্যান্ড স্যানিটাইজারের সরবরাহ বজায় রাখতে নতুন সিদ্ধান্ত
হ্যান্ড স্যানিটাইজারের সরবরাহ বজায় রাখতে এই সিদ্ধান্ত। কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রকের তরফে সোমবার এমনটাই জানানো হয়েছে এক নির্দেশিকায়। মন্ত্রকের তরফে পেশ করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া থেকে প্রাপ্ত অতিরিক্ত চাল থেকে অ্যালকোহল-যুক্ত স্যানিটাইজার নির্মাণ এবং ইথানলের সঙ্গে পেট্রোল মেশানোর পরিকল্পনায় সম্মতি মিলেছে।'
সরকারের সিদ্ধান্তের জেরে তৈরি হতে পারে বিতর্ক
এদিকে সরকারের এই সিদ্ধান্তের জেরে তৈরি হতে পারে নতুন বিতর্ক। দেশের একাধিক রাজ্যে আটকে পড়েছেন ভিনরাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকরা। তা সত্ত্বেও ফুড কর্পোরেশনের গুদামঘর ভর্তি রয়েছে। লকডাউন শুরু হওয়ার পর অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন দরিদ্রদের অতিরিক্ত খাদ্যের প্রতিশ্রুতি দেন। তবে তা না করে এবার অতিরিক্ত চাল ব্যবহার হবে স্যানিটাটাইজার বানানোর কাজে।
কী হবে পরিযায়ী শ্রমিকদের?
এর আগে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছিলেন, ভিন রাজ্যে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের ৫ কেজি গম বা চাল দেওয়া হবে। তবে কেবল তাঁরাই এটা পাবেন, যাঁদের রেশন কার্ড রয়েছে। এদিকে ভিন রাজ্যে আটকে পড় বহু পরিযায়ী শ্রমিকের সঙ্গেই রেশন কার্ড নেই। আবার অনেকের রেশন কার্ড হয়নি।