এবার পাঞ্জাব-মহারাষ্ট্রে পঙ্গপালের হানা, মরু-পোকার হামলা রুখতে আকাশে উড়বে ড্রোন!
লকডাউনের মধ্যে বড়সড় ত্রাস পঙ্গপাল। ওড়ার পথে যা কিছু সবুজ সব খেয়ে নিতে পারে পঙ্গপাল। পাকিস্তানে ইতিমধ্যেই জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে পঙ্গপালের হানার জেরে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যেও একই অবস্থা। ভারতে প্রথম পঙ্গপালের দল আক্রমণ করে এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে। পাকিস্তান থেকে এই পতঙ্গ উড়ে আসে রাজস্থানে।
পঙ্গপালের হানায় জেরবার পশ্চিম ভারত
এরপর রাজস্থানের ২১টি জেলা, মধ্যপ্রদেশের ১৮টি জেলা, গুজরাতের ২টি এবং পাঞ্জাবের ১টি জেলায় সতর্কবার্তা জারি করে কেন্দ্র। রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশে হামলার পর পঙ্গপালের সেনা এবার পৌঁছে গিয়েছে উত্তরপ্রদেশে। আশঙ্কা করা হচ্ছে এই পঙ্গপালের দল আগ্রা, আলিগড়, মথুরা, বুলন্দশহর, হাথরাস, এটা, ফিরোজাবাদ, মইনপুরি, এটাওয়া, ফারুক্কাবাদ, অউরিয়া, জালাউন, কানপুর, ঝাঁসি, মাহোবা, হামিরপুর ও ললিতপুর এই ১৭টি জেলায় দৌরাত্ম্য চালাবে। এই পঙ্গপালের ঝাঁকের আকার প্যারিস শহরের মতো বড় হতে পারে।
পঙ্গপাল ঠেকাতে আকাশে ড্রোন
এছাড়া মহারাষ্ট্রেও হামলা করতে পারে পঙ্গপাল। এমনিতেই করোনায় জর্জরিত মহারাষ্ট্র। এর মধ্যে এই পঙ্গপালের হানা আটকানোর উপায় খুঁজতে কালঘাম ছোটাতে হচ্ছে উদ্ধব ঠাকরের সরকারকে। বর্ষা পর্যন্ত এই হানা রুখতে তাই এবার আকাশে ড্রোন ওড়ানোর কথা ভাবছে কেন্দ্র। এই পঙ্গপালের হানা না রোখা গেলে ৪৭ হাজার হেক্টর এলাকার ফসল নষ্ট হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
পঙ্গপাল ঠেকাতে উত্তরপ্রদেশের উদ্যোগ
উত্তরপ্রদেশের কৃষি বিভাগের মতে, পঙ্গপালের এই বড় দল একঘণ্টার মধ্যে এক একর ফসল খেয়ে নিতে পারে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে উত্তরপ্রদেশের কৃষি বিভাগ এই পঙ্গপালের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য কৃষকদের আলাদা করে প্রশিক্ষণ দেবে। আগ্রায় এই পঙ্গপাল মোকাবিলার জন্য রাসায়নিক স্প্রে সহ ২০৪টি ট্র্যাক্টর প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। এদিকে রাজস্থান থেকে এই পঙ্গপালের দলের একাংশ হরিয়ানা হয়ে দিল্লিতেও হানা দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। একদিনে এই পঙ্গপালের দল এত শস্য খেতে পারে যা ফ্রান্সের আর্ধেক মানুষ খেতে পারে।
কী কারণে পঙ্গপালের হানা?
গত দু'বছরে আরব সাগরে একের পর ঘূর্ণিঝড়, নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। সেটাই পঙ্গপালের জনবিস্ফোরণের অন্যতম কারণ। ভেজা বালিমাটি পেয়ে ডিম ফোটার অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। চাষ ভালো হওয়ায় খাদ্যেরও অভাব হয়নি। আফ্রিকার সেই পঙ্গপাল পাকিস্তান পেরিয়ে গত বছরই রাজস্থান, পাঞ্জাবে ঢুকে পড়েছিল। তখনকার মতো হামলা সামাল দেওয়া গেলেও, নতুন করে হানা শুরু হয়েছে। ফলে শুধু ফসলহানি নয়, খাদ্যসঙ্কটের আশঙ্কাও জোরদার হচ্ছে।
আট হাজার কোটি টাকার মুগ ডালের বিপুল ক্ষতি হবে
বিশেষজ্ঞরা বলছে, হামলা ঠেকাতে না পারলে, আট হাজার কোটি টাকার মুগ ডালের বিপুল ক্ষতি হতে পারে। ফল, সব্জি, তুলো, লঙ্কারও যথেষ্ট ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা। তাতেও কয়েক হাজার কোটি টাকার ধাক্কা। তাঁরা জানান, পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে এবং দীর্ঘ দূরত্ব পাড়ি দিয়ে ফেললে কয়েক হাজার কোটি টাকার তুলা ও লঙ্কা ফসলের ক্ষতিও হতে পারে।
চিনের কাছে হার মানল আমেরিকা, হংকং-এর সঙ্গ ত্যাগ ট্রাম্পের! মাইক পম্পেওর বক্তব্যে চাঞ্চল্য