বিক্ষোভস্থলে টিকাকরণ কেন্দ্র করা উচিত, সরকারের কাছে দাবি কৃষক সংগঠনের
বিক্ষোভস্থলে টিকাকরণ কেন্দ্র করা উচিত
করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ওয়েভ দেশে বিপর্যয় অভ্যাহত রেখেছে। প্রতিটি রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। গত বছরের করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই কেন্দ্রের তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দিল্লির সিংঘু সহ বিভিন্ন সীমান্তে কৃষকরা প্রতিবাদে বসেছিলেন, যা করোনার দ্বিতীয় ওয়েভের মধ্যেই তাঁরা চালিয়ে যাচ্ছেন। কৃষক সংগঠনের নেতৃত্বে থাকা সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার পক্ষ থেকে শুক্রবার দাবি জানানো হয় যে বিক্ষোভের জায়গাগুলিতে সরকারের উচিত টিকাকরণ কেন্দ্র ও সেই সংক্রান্ত সুবিধা প্রদান করা।
টিকাকরণের আর্জি
এ ধরেনর দাবি কৃষক সংগঠনের পক্ষ থেকে এই প্রথমবার করা হল। দিল্লির বিভিন্ন সীমান্তে প্রতিবাদরত কৃষকদের মাস্ক পরতে ও কোভিড-১৯ বিধি মেনে চলতেও বলা হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে। মজার বিষয় হল, এর আগে কৃষক সংগঠনের করোনার ঝুঁকি রয়েছে এমন বয়সের নেতারা জানিয়ে ছিলেন যে তাঁরা কোভিড-১৯-কে ভয় পান না এবং টিকাকরণও করাবেন না। তবেএর পাশাপাশি তাঁরা এও জানিয়ে ছিলেন যে সীমান্তে কোনও কৃষক যদি টিকাকরণ করাতে চান তবে তাঁরা তাতে বাধা দেবেন না কারণ এটা ব্যক্তিগত পছন্দ।
কোভিডের মধ্যেই চারমাস ধরে প্রতিবাদে কৃষকরা
শত শত কৃষক, অধিকাংশ পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং পূর্ব উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা, তাঁরা দিল্লির সিংঘু, টিকরি এবং গাজিপুর সীমান্তে চারমাস ধরে তিন কৃষি আইন সংস্কারের দাবি নিয়ে প্রতিবাদে বসেছেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরেই এই তিন কৃষি আইন পাশ হয় সংসদে। এসকেএমের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'আমরা কৃষকদের কাছে আবেদন জানিয়েছি যে প্রয়োজনীয় বিধি ও নির্দেশিকা অনুসরণ করতে, যার মধ্যে মাস্ক পরা ও করোনা বিধি মেনে চলা রয়েছে। একই সময়ে আমরা সরকারের কাছেও আবেদন জানিয়েছি যে প্রতিবাদ স্থানে টিকাকরণ কেন্দ্র ও প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা দেওয়া সরকারের দায়িত্ব।'
দিল্লির পরিস্থিতি
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী ভারতে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২,১৭,৩৫৩ জন, যা দেশের মোট সংক্রমণকে নিয়ে গিয়েছে ১,৪২,৯১,৯১৭-তে। এরপরই কৃষক সংগঠনের পক্ষ থেকে এই দাবি করা হয়। ইতিমধ্যেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল রাজধানীতে কোভিড সংক্রমণের বৃদ্ধি দেখে বৃহস্পতিবার কার্ফু ঘোষণা করেন এবং সোমবার গোটা দিল্লি জুড়ে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনের ঘোষণাও করেন। এছাড়াও ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত শপিং মল, জিম, স্পা ও অডিটোরিয়াম বন্ধ রাখা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
সরকারকে সতর্ক
যদিও এসকেএমের পক্ষ থেকে বিজেপি শাসিত কেন্দ্রকে দোষারোপ করে জানানো হয় যে একাধিক নির্বাচনী জনসভায় করোনা ভাইরাসের বিষয়ে কোনো তথ্য না জানিয়ে শাসক দল ভোট পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। কৃষকদের পক্ষ থেকে আতঙ্কের পরিবেশ ও কৃষকদের মধ্যে ভুয়ো খবর না ছড়ানোর জন্য সরকারকে সতর্ক করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'ভুয়ো খবর ছড়ানোর মাধ্যমে কৃষকদের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টির যে প্রয়াস সরকারের তা কখনই কৃষকরা বরদাস্ত করবে না এবং আমরা তার যোগ্য জবাব দেব।'
করোনার মোকাবিলায় কড়া এলাহাবাদ হাইকোর্টে, প্রয়াগরাজ-লখনৌয়ের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা