৪৬ কোটি খরচ করে অসমে সর্ববৃহৎ শরণার্থী শিবির করছে মোদী সরকার
অসমই একমাত্র রাজ্য যেখাণে এনআরসি বা জাতীয় নাগরিক পঞ্জি হয়েছে। প্রায় ১৯ লাখ বাসিন্দার নাম চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে। তাঁদের রাখার জন্য একটি শরণার্থী শিবির তৈরি করছে মোদী সরকার।
অসমই একমাত্র রাজ্য যেখানে এনআরসি বা জাতীয় নাগরিকপঞ্জী হয়েছে। প্রায় ১৯ লাখ বাসিন্দার নাম চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে। তাঁদের রাখার জন্য একটি শরণার্থী শিবির তৈরি করছে মোদী সরকার। অসমের এই সর্ববৃহৎ শরণার্থী শিবির তৈরি করতে খরচ করা হচ্ছে ৪৬ কোটি টাকা।
১০টি শরণার্থী শিবির হবে অসমে
এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর থেকেই চরমে উঠেছে রাজনৈতিক পারদ। চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ১৯ লাখ শরণার্থীর নাম। যদিও ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নথি দিতে পারবেন তাঁরা। তরপরেও যাঁরা তালিকা থেকে বাদ যাবেন, তাঁদের ঠাঁই হবে শরণার্থী শিবিরে। সেজন্য অসমে প্রায় ১০টি শরণার্থী শিবির তৈরি করছে বিজেপি সরকার। তাতে খরচ হচ্ছে প্রায় ৪৬ কোটি টাকা। গুয়াহাটি থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে তৈরি হবে এই শরণার্থী শিবির। গত বছর থেকেই তার নির্মাণ শুরু হয়েছিল। কিন্তু প্রবল বর্ষণে কারণ নির্মাণ প্রক্রিয়া ব্যহত হয়। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্মাণ শেষ হয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে।
কী কী থাকবে এই শরণার্থী শিবিরে
গোয়ালপাড়া জেলায় এই শরণার্থী শিবির তৈরি হচ্ছে ২.৫ হেক্টর জমিতে। সোজা কথা বলতে গেলে সাতটি ফুটবল মাঠ একসঙ্গে করলে যতটা বড় হয় ঠিক ততটা বড় এই শরণার্থী শিবির। অনেকটা জেল খানার ধাঁচেই তৈরি হচ্ছে এটি। নজরদারি চালানোর জন্য থাকছে ওয়াচ টাওয়ার। প্রকল্পের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার রবিন দাস জানিয়েছেন ১৫টি চারতলা বাড়ি থাকছে তাতে। তারমধ্যে ১৩টি বাড়ি কেবলমাত্র পুরুষদের জন্য এবং ২টি বাড়ি কেবলমাত্র মহিলাদের জন্য। থাকছে পৃথক শৌচাগার, রান্নাঘর, হাসপাতাল, খাবার জায়গা, স্কুল, বিনোদনের জায়গা। এছাড়াও শরণার্থী শিবিরে আধিকারিক এবং কর্মীদের জন্যও আবাসন তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়াও থাকছে ২টি নিরাপত্তা ব্যরাক এবং ৫০,০০০ লিটার জল ধরে রাখার ক্ষমতা সম্পন্ন ট্যাঙ্ক। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে এই শরণার্থী শিবিরের নির্মাণ।
অমিত শাহের হুঁশিয়ারি
এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর থেকে চড়তে শুরু করেছে রাজনৈতিক পারদ। অসমের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত শর্মা রীতিমত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন কোনওভাবেই বেআইনি শরণার্থীদের ঠাঁই দেওয়া হবে না দেশে। তাঁদের বাংলাদেশে পাঠানোর বন্দোবস্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও রীতি মতো হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন কোনও বেআইনি অনুপ্রবেশকারীর ঠাঁই নেই। তাঁদের দেশ থেকে বিতাড়িত করা হবেই।
অসমে এনআরসি তালিকা থেকে প্রায় ১৯ লাখ বসিন্দার নাম বাদ গিয়েছে। রীতিমতো আশঙ্কায় ভুগছেন তাঁরা। এই বাদ পড়া বাসিন্দাদের মধ্যে প্রাক্তন সেনাকর্মী, বিএসএফ জওয়ানও রয়েছেন।
[ অধিকৃত কাশ্মীরেও বিনিয়োগ করবে ভারত, তবে... কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর শর্ত পাকিস্তানকে]
[আন্তর্জাতিক আদালতে কাশ্মীর ইস্যু! দেশের মাটিতেই ধাক্কা খেলেন ইমরান]