সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার নামে যা হচ্ছে, শুনলে বাকরুদ্ধ হয়ে যাবেন
মহিলা রোগীকে চড়-থাপ্পড় মেরে ও ধূপকাঠি জ্বালিয়ে চিকিৎসা সরকারি হাসপাতালে, হাস্যকর যুক্তি অভিযুক্ত চিকিৎসকের ।
সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক নাকি ওঝা, তান্ত্রিক। এক মহিলা রোগীকে ওঝার কায়দায় চড়- থাপ্পড় মেরে চিকিৎসা করা হল রাজস্থানের বারমেরে একটি সরকারি হাসপাতালে। এমনকী ওই মহিলার জ্ঞান ফেরাতে তাঁর সামনে ধূপকাঠি জ্বেলে, প্রার্থনাও করলেন চিকিৎসক সুরেন্দ্র বাহারি। অবশ্য এসবের পেছনে হাস্যকর যুক্তিও খাড়া করেছেন ওই চিকিৎসক।
রাজস্থানের বারমেরের একটি সরকারি হাসপাতালে প্রায় সংজ্ঞাহীন অবস্থায় আনা হয়েছিল ওই মহিলাকে। সেসময়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুরেন্দ্র বাহারির ওপরই ওই মহিলার চিকিৎসার দায়িত্ব বর্তায়। কিন্তু ওষুধ বা ইঞ্জেকশন দেওয়ার বদলে অদ্ভুতভাবে ওই মহিলাকে চুলের মুঠি ধরে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন ওই চিকিৎসক। কিন্তু তাতেও কাজ না হওয়ায় এবার আরও এক কদম এগিয়ে ধূপকাঠি জ্বালিয়ে ওই মহিলার সামনে প্রার্থণা করতে বসেন তিনি। প্রশ্ন করায় সুরেন্দ্র বাহারি বলেন, ওই মহিলার জ্ঞান হারানোর আগে শুধুমাত্র এটুকুই মনে ছিল যে কোনও কেউ একটা পেছন থেকে ঘাড় ধরে এক গোছা চুল কেটে নিয়েছে। কিন্তু তাবলে চড়- থাপ্পড় কেন? উত্তরে চিকিৎসক বলেন, চিকিৎসা চলাকালীন বার বার জ্ঞান হারাচ্ছিলেন ওই মহিলা। সেকারণেই বারবার ইঞ্জেকশন না দিয়ে চড়- থাপ্পড় দিয়েই কাজ সারেন তিনি। অবশ্য ধূপকাঠিটা নেহাৎই কুসংস্কারের বশেই জ্বালিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক। তবে তিনি যাই সাফাই দিন না কেন, একজন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক হয়ে কীভাবে তিনি রোগীকে মারধর করে চিকিৎসা করলেন সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। সেইসঙ্গে চিকিৎসার আগে ধূপকাঠি জ্বালানোর বিষয়টিকেও হজম করতে পারছেন না অনেকেই।
সম্প্রতি
কিছুদিন
ধরেই
রাজস্থানের
যোধপুরের
কাছে
মহিলাদের
চুল
কেটে,
কব্জিতে
ব্লেড
চালানো
হচ্ছে
বলে
খবর
রটেছে।
এই
খবরে
রীতিমত
আতঙ্কিত
গোটা
এলাকা।
যদিও
পুলিশ
গোটা
বিষয়টিকে
গুজব
ছাড়া
আর
কিছু
মানতে
রাজি
নয়।
এই
ধরনের
কোনও
ঘটনাই
ঘটেনি
বলে
তদন্তের
পর
আশ্বস্ত
করেছে
পুলিশ।