বর্ধিত করোনা লকডাউন চলাকালীন যে সব সরকারি নির্দেশিকা মেনে চলা বাধ্যতামূলক, দেখুন এক নজরে
দেশে গত ২১ দিন ধরে চলছে লকডাউন। তবে সেই সময়কালে ক্রমেই দেশে আরও বিস্তার ঘটেছে করোনা সংক্রমণের। এরই মাঝে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মোদী ঘোষণা করেন যে দেশে করোনা সংক্রমণ রুখতে এই লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে আগামী ৩ মে পর্যন্ত। এই পরিস্থিতিতে সম্পূর্ণ ভাবে লকডাউন মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে বাড়িতেই থাতে বলেন। এই পরিস্থিতিতে দেশে কী কী নির্দেশ মেনে চলবেন?
কর্মক্ষেত্রে বা পাব্লিক প্লেসে যে ভাবে থাকবেন
কর্মক্ষেত্র হোক বা রাস্তায় বা কোনও পাব্লিক প্লেসে, পাঁচ জনের বেশি মানুষের জমায়েত করা যাবে না। লোকসমাগমের উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। এমনিতেই সব আন্তর্জাতিক ও ডমেস্টিক উড়ান সব রেলে যাত্রী যাতায়ত বন্ধ থাকবে। চিকিৎসা ছাড়া অন্য কোনও কারণে আন্তঃ জেলা যাতায়তের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্কুল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও কোচিং সেন্চার বন্ধ থাকবে।
সোশ্যাল ডিস্টেন্সিংয়ের উপর জোর
সব অফিস ও কর্মক্ষেত্রগুলিকেই সরকারের তরফে বিশেষ নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। এতে সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ওয়ার্ক ফ্রম হোম দেওযার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া আলাদা আলাদা ভাবে লাঞ্চ ব্রেকের সুপারিশ রয়েছে যাতে বেশি লোক এক সঙ্গে এক জায়গাতে না থাকে।
আরোগ্য সেতু অ্যাপটি ডাউনলোড করুন
কয়েকদিন আগেই করোনা ভাইরাসের প্রকোপ রোখার উদ্দেশে চালু করা হয়েছিল আরোগ্য সেতু। জানা গিয়েছে এই লকডাউন চলার সময় এই অ্যাপই নাকি ইলেকট্রনিক পাস হিসেবে কাজ করবে। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিয়ো-বৈঠকে এমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিভিন্ন সংস্থাকে কেন্দ্র বলছে যাতে তাদের কর্মচারীরা এই অ্যাপটি ডাউনলোড করে। এতে করোনা ট্রেসিং সম্ভব।
মাস্ক পরুন ও যত্রতত্র থুতু ফেলবেন না
সব অফিস ও ফ্যাক্টরির জন্যেই একটি নির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরি করেছে সরকার যার মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হয়। এছাড়া কাজ করার সময় মুখে মাস্ক পরে থাকা বাধ্যতামূলক। কোনও পাব্লিক প্লেস বা রাস্তায় থুতু ফেলা যাবে না।