লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধি ঠেকাতে ১.২ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের
খাদ্য মন্ত্রককে ১.২ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করার নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন এই বিষয়ে জানান যে পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটের সবুজ সংকেত মিলেছে। পেঁয়াজের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধি ঠেকাতেই এই পদক্ষেপ বলে জানান তিনি। সরকার জানিয়েছে, পেঁয়াজের দাম তীব্র গতিতে বেড়েছে, রাজধানীসহ কয়েকটি জায়গায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১০০ টাকাতেও বিক্রি হচ্ছে।
১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের বাজারে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ
অর্থমন্ত্রী জানান, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্য সংস্থা এমএমটিসি পেঁয়াজ আমদানি করবে, তবে সমবায় নাফেদ বাজারে এই আমদানিকৃত পেঁয়াজ সরবরাহ ও বিতরণ করবে। খাদ্য ও উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী রাম বিলাস পাসওয়ান জানান, এমএমটিসিকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পেঁয়াজ আমদানি এবং দেশীয় বাজারে তা বিতরণের জন্য সরবরাহ করতে বলা হয়েছে। নাফেদকে সারাদেশে আমদানি করা পেঁয়াজ সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৪ হাজার টন পেঁয়াজ কেনার টেন্ডার জমা করেছে এমএমটিসি।
চলতি বছরে পেঁয়াজের উৎপাদন কমেছে ২৬ শতাংশ
গত সপ্তাহে, সরকারিভাবে বলা হয়েছিল, পেঁয়াজের জোগান বৃদ্ধির জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং অন্যান্য দেশ থেকে যথেষ্ট পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। চলতি বছরে পেঁয়াজের উৎপাদন কমেছে ২৬ শতাংশ। এই কারণে দেশব্যাপি দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। গতবছরের নভেম্বরে যেখানে দেশে পেঁয়াজের দাম ২৩ টাকা ছিল, সেখানে এই বছর সেই দামটি দেশব্যাপি গড়ে ৬০ টাকারও বেশি।
পেঁয়াজ আমদানির শর্তাবলী
খাদ্য মন্ত্রক জানায়, দরদাতাদের ন্যূনতম ৫০০ টন পরিমাণের জন্য দরপত্র দিতে হবে। অভ্যন্তরীণ ডিপোর ক্ষেত্রে দরপত্রের সর্বনিম্ন পরিমাণ হবে ২৫০ টন। প্রয়োজনীয় সরবরাহের উপর নির্ভর করে ২৫০ টন ইউনিটগুলির সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হবে। তাজা পেঁয়াজ যে কোনো দেশ থেকেই আমদানি করা যেতে পারে তবে চালানটি ফাইটোস্যানিটারি এবং ফিউমিগাশন শর্ত মেনেই হতে হবে বলে জানানো হয়েছে।