সামনে দীর্ঘ আইনি লড়াই! নীরবকে ফেরাতে তৎপরতা তদন্তকারী সংস্থাগুলির
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, সিবিআই, ইডি, আয়কর বিভাগ নীরব মোদী, মেহুল চোকসিকে দেশে ফিরিয়ে আনতে তৎপর।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, সিবিআই, ইডি, আয়কর বিভাগ নীরব মোদী, মেহুল চোকসিকে দেশে ফিরিয়ে আনতে তৎপর। প্রায় ১৪ হাজার কোটির প্রতারণায় অভিযুক্তকে দেশে ফিরিয়ে আনতে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ বজায় রেখে কাজ করছে তদন্তকারী সংস্থাগুলি। সঙ্গে সম্পত্তি পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়াও চলছে।
বুধবার নীরব মোদীকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারিভাবে প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। ভারতীয় তদন্তাকারী সংস্থাগুলির আইনি সহায়তাকারী দল লন্ডনে পৌঁছে গিয়েছেন পর্যাপ্ত প্রমাণ নিয়ে। প্রয়োজনে ইডির টিমও লন্ডন যেতে পারে বলে জানা গিয়েছে। একইসঙ্গে অ্যান্টিগুয়াতে থাকা মেহুল চোকসিকে ফিরিয়ে আনতেও চেষ্টা শুরু করা হয়েছে।
তদন্তকারী সংস্থাগুলি সম্পত্তি পুনরুদ্ধারেও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মুম্বইয়ের বিশেষ আদালত নীরব মোদীর ১১ টি বিলাস বহুল গাড়ি নিলামের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। যার মধ্যে রয়েছে রোলস রয়েস, পোর্সে, মার্সিডিজ বেঞ্জর মতো গাড়ি। এছাড়াও আদালত আয়কর বিভাগকে অনুমতি দিয়েছে ৬৮ টি ছবি নিলাম করে, সেই টাকা ইডির হাতে তুলে দিতে।
এদিকে নীরব মোদীর গ্রেফতারের খবরে পিএনবির শেয়ারের দাম ৩.৩৭ শতাংশ বেড়ে দিনের শেষে ৯৩.৫৫ টাকায় বন্ধ হয়।
আদালত ইতিমধ্যেই নীরব মোদীর স্ত্রী আমি মোদীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।
[আরও পড়ুন: রাজকীয় জীবনধারা কার্যত অন্ধ কূপ! মারাত্মক অপরাধীদের সঙ্গে রাত কাটল নীরব মোদীর ]
পিএনবি সূত্রে জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে ১৩,৫০০ কোটি টাকার মতো প্রতারণা করা হয়েছে। যার নীরব মোদী ও মেহুল চোকসির মধ্যে ৬০: ৪০ ভাগে বিভক্ত। এরই মধ্যে নীরব মোদীর গ্রেফতারের ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির যেন স্বস্তি ফিরেছে। তবে প্রত্যার্পণ একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। লন্ডনে আইনি লড়াই লড়তে হবে দীর্ঘ সময় ধরে।
নীরব মোদীর গ্রেফতারের খবর খুশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। লোকসভা নির্বাচনের মুখে এই গ্রেফতারে বিজেপির খানিকটা সুবিধা হবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
[আরো পড়ুন:ভোটের আগে শোভন-সব্যসাচীকে তৃণমূলের কোন তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হল ! জল্পনা কি উস্কে গেল ]