আরোগ্য সেতু নিয়ে সিআইসির নোটিশের পর তৎপর সরকার এবার কোন ব্যবস্থা নিতে চলেছে
আরোগ্য সেতু নিয়ে সিআইসির নোটিশের পর তৎপর সরকার এবার কোন ব্যবস্থা নিতে চলেছে
আরোগ্য সেতু অ্যাপে কোনও তথ্য না রাখার জন্য এবার ব্যবস্থা নেবে সরকার। জানা গিয়েছে, তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক আরটিআই আবেদনকারীকে জানিয়েছে যে সরকারের তৈরি এই মোবাইল অ্যাপ প্রস্তুতকারকরা এখানে কোনও তথ্য না রাখার জন্য তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এই তথ্য জানিয়েছে এ বিষয়ে অবগত এক কর্মকর্তা। ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছে।
আরোগ্য সেতু অ্যাপে নেই কোনও তথ্য
জাতীয় তথ্য কেন্দ্রের (এনআইসি) এক কর্মকর্তা আরটিআই আবেদনকারীকে এ বিষয়ে কোনও তথ্য দিতে অস্বীকার করার পর কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন ওই কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরই সরকারের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা করা হয়। প্রসঙ্গত, এনআইসির সঙ্গে বেসরকারি সংস্থা যৌথভাবে এই মোবাইল অ্যাপটি তৈরি করেছিল, যা সম্ভাব্য কোভিড সংক্রমণ ও হটস্পট সনাক্ত করতে সহায়তা করবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার দেশবাসীকে এই অ্যাপ ফোনে ডাউনলোডের জন্য উৎসাহিত করতে প্রচার চালিয়ে ছিল। তবে এই অ্যাপের গোপনীয়তা ও সুরক্ষা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের তোলা প্রশ্নের ভিত্তিতে সরকার তৎক্ষণাত সোর্স কোড বসায় এই অ্যাপে যাতে মানুষ এই অ্যাপটি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করতে পারেন। এই অ্যাপ ১৬ কোটি বার ডাউনলোড করা হয়েছে।
আরটিআই করেন সৌরভ দাস
কিন্তু এই অ্যাপটির সম্পর্কে আরও তথ্য জানার জন্য আরটিআই আবেদন করেন সৌরভ দাস নামে এক ব্যক্তি, তিনি জানান যে, এটা দেখে মনে হয়েছিল যে সংশ্লিষ্ট কোনও বিভাগের এটির সম্পর্কে কোনও তথ্য নেই। সৌরভ দাস আরও জানতে চান যে কার কথায় এই আরোগ্য সেতু অ্যাপটি বানানো হয়েছিল? ওই ব্যক্তির আবেদনের ভিত্তিতে এনআইসি তাদের জবাবে জানায় যে কে এই অ্যাপটি তৈরি করেছে সে বিষয়ে তাদের কাছে কোনও তথ্য নেই, অন্যদিকে মেইটি কোনও মন্তব্য করে না এবং জাতীয় ই-গভর্নেন্স বিভাগ এনজিডি জানিয়েছে যে এ ধরনের তথ্য তাদের উদ্বিগ্ন করে না। সৌরভ দাস এরপরই তথ্য নিয়ে তদন্ত করে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের কাছে অভিযোগ করে, যারা নিজেরাই সরকারের এই জবাবে হতভম্ব হয়ে যায়।
তথ্য জানার আইনে শাস্তি দোষীদের
তথ্য কমিশনার বনজা এন সর্না প্রশ্ন তুলেছিলেন যে কেন তথ্য আইনের অর্ন্তর্গত ওইসব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, এর জন্য তাঁকে কড়া মন্তব্যের মুখোমুখি হতে হয়। দোষী কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে এই আইনটিতে। তিনি এনআইসিকে ব্যাখা করতে বলেছেন যে কীভাবে সরকারি ওয়েবসাইটটি তৈরি হয়েছিল যদি তাদের কাছে এ বিষয়ে কোনও তথ্যই না থাকে। তথ্য কমিশনার এ প্রসঙ্গে বলে, ‘কমিশন লক্ষ্য করে দেখেছে যে কোনও সিপিআইও কোনও তথ্য দেয়নি। তাই কমিশন সিপিআইও, এনআইসিকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানোর নির্দেশ দিচ্ছে যে কীভাবে তারা গভ.ইন ডমেন নিয়ে আরোগ্য সেতু সরকারি ওয়েবসাইটটি তৈরি করেছে।' এই আদেশে এও বলা হয়েছে, ‘সিপিআইও-এর কেউ অ্যাপ কে তৈরি করেছে সে বিষয়ে কোনও তথ্য জানায়নি।' কেউ কোনও তথ্য না দিতে পারাটি অত্যন্ত হতাশাজনক বলে জানিয়েছে সিআইসি। তারা এটিও বলেছে আরটিআইয়ের উদ্দেশ্যে সরকারের মধ্যে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করতে হবে। নোটিস পাওয়ার পর অবশ্য নড়েচড়ে বসেছে আইটি মন্ত্রক। যথাসময় উত্তর দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে এই নিয়ে কোনও সন্দেহ থাকা উচিত নয় যে আরোগ্য সেতু অ্যাপটি সরকারের।
বিরোধী দল আগেই সরব হয়
আরোগ্য সেতু অ্যাপটির তথ্য-সুরক্ষা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধী দলগুলি। অস্বস্তিতে পড়ে সরকার এক বিবৃতি জারি করে জানায় যে কোভিড-১৯ মোকাবিলা করার জন্য তৈরি অ্যাপের বিষয়ে সব তথ্য পাবলিক ডোমেনে দেওয়া রয়েছে।
সন্ত্রাসে বিদ্ধ ফ্রান্স, সহমর্মিতায় পাশে দাঁড়াল ভারত, টুইটে নিস হামলার নিন্দায় প্রধানমন্ত্রী মোদী