আধার না থাকলে বিপাকে পড়তে পারে বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা
কালো টাকা প্রতিরোধে এবার ব্যবসায়িক সংস্থা এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার জন্যও আধার লাগবে। আয়কর আইন সংশোধন করে কোম্পানির ডায়রেক্টর এবং প্রমোটরদের আধার জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করতে চায় কেন্দ্র।
এবার কি ব্যবসায়িক সংস্থা এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার জন্যও আধার লাগবে ? কালো টাকা বন্ধে এমনই ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে কেন্দ্র।
সূত্রের খবর, এই বিষয়ের জন্য কোম্পানি বিষয়ক মন্ত্রক ইতিমধ্যেই আয়কর আইন সংশোধন এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে প্রস্তাব দিয়েছে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই দুলক্ষ টাকার ওপর লেনদেনের ক্ষেত্রে কড়া নিয়ম লাগুর বিষয়টি ভেবে দেখছে সরকার।
দেশের বেশিরভাবে ব্যবসায়িক সংস্থা এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্যান রয়েছে। ৫০ হাজার টাকার বেশি লেনদেনের ক্ষেত্রে যার ব্যবহার জরুরি। ব্যাঙ্কের কেওয়াইসি-র জন্য জরুরি হল প্যান। তা সত্ত্বেও এর মধ্যে কিছু ফাঁকফোকর রয়ে গিয়েছে। সেই সব ফাঁক ফোকর বন্ধেই আইন পরিবর্তন করতে চায় কেন্দ্র। মন্ত্রকের আলোচনায় উঠে এসেছে 'আধার' ব্যবহার প্রসঙ্গও। ব্যবসায়িক সংস্থা কিংবা অংশিদারি ব্যবসার নথিভুক্তিকরণের সময় আধার ব্যবহারের কথা ভাবা হচ্ছে। এক্ষেত্রে আধার-এর ব্যবহার হলে ওইসব সংস্থার ডায়রেক্টর কিংবা প্রমোটরদের সহজেই নজরদারির আওতায় রাখা যাবে বলে মত সরকারি মহলের। এক্ষেত্রে বেনামি কোম্পানির ওপর রাশ টানা সহজ হবে বলে মনে করছে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, ভবিষ্যতে কোম্পানির ম্যানেজিং ডায়রেক্টর এবং চিফ এগজিকিউটিভদের ক্ষেত্রে আধার বাধ্যতামূলক করতে চায় কেন্দ্র।
কোম্পানি বিষয়ক মন্ত্রক কোনও নতুন কোম্পানি তৈরির সময়ই প্যান বাধ্যতামূলক করেছে। এইসব ক্ষেত্রে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্যান তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু অংশিদারি সংস্থা এবং ট্রাস্টের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতির অন্তর্ভুক্ত নয়। আইন সংশোধনের মাধ্যমে সবকটি সংস্থার জন্যই একই আইন করতে চায় কেন্দ্র।
ব্যবসায়িক সংস্থার জন্য আধার-এর মতো কোনও পরিচয়পত্র করা যায় কিনা, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে কোম্পানি বিষয়কমন্ত্রক। বিষয়টি নিয়ে তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। বছর কয়েক আগে ব্যবসায়িক সংস্থাগুলির জন্য প্যান বাধ্যতামূলক করে সরকার।
গত মাস কয়েক ধরে বিভিন্ন পর্যায়ে 'শেল কোম্পানি'-র ওপর নজরদারি চালাচ্ছে সরকার। বছরের পর বছর ধরে রিটার্ন জমা না দেওয়ায় কোম্পানি বিষয়ক মন্ত্রক দুলক্ষেরও বেশি কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করেছে। এইসব সংস্থার ডিরেক্টরশিপও বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে সংস্থাগুলির আর্থিক লেনদেন বন্ধে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এবং ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কস অ্যাসোসিয়েশন এই সব সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করতে বলেছে।