সিবিআই আদালতের বিচরককে হুমকি লালুর ঘনিষ্ঠদের,অভিযোগ ঘিরে গুঞ্জন
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রের খবর, এই বিচারক শিবপাল সিংরহুকে ফোনে হামকি দেয় লালুপ্রসাদের রাষ্ট্রীয় জনতা দল বা আরজেডির সদস্যরা।
৯৫০ কোটি টাকার পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় রাষ্ট্রীয় জনতা দল লালুপ্রসাদকে দোষী সাব্যস্ত করে রাঁচির সিবিআই আলাদত। এরপর বৃহস্পতিবার, সেই আদালতের বিচারক শিবপাল সিং -এর দোষী লালুপ্রসাদ যাদবকে সাজা শোনানোর কথা ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার তা হয়নি। জানা গিয়েছে শুক্রবার ঘোষণা হবে সাজা । সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রের খবর, এই বিচারক শিবপাল সিংরহুকে ফোনে হামকি দেয় লালুপ্রসাদের রাষ্ট্রীয় জনতা দল বা আরজেডির সদস্যরা। আর এই তথ্যকে কেন্দ্র করে, লালুপ্রসাদের সাজা পিছনো নিয়ে নানা মহলে উছঠছে নান প্রশ্ন।
[আরও পড়ুন:ফের লালুর সাজা পিছল রাঁচির সিবিআই আদালত, এই নিয়ে পরপর দু'দিন]
উল্লেখ্য, পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় লালুপ্রসাদ সহ মোট ১৫ জনের বিরুদ্ধে ৮৯.২৭ লক্ষ টাকা ১৯৯১ থেকে ১৯৯৪ সালের মধ্যে দেওঘর ট্রেজারি থেকে তছরুপের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। ফলে তিন থেকে সাত বছরের মধ্যে সাজা হবে লালুপ্রসাদের। তিন বছরের বেশি সময়ের জন্য সাজা হলেবিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ জামিনের আবেদন করতে পারবেন না। এদিকে, লালুপুত্র তেজস্বী , আরজেডি নেতা রঘুবংশ সিং সহ অনেকেই লালুর শাস্তি প্রসঙ্গে মুখ খুলে , আদালত অবমাননার দায়ে গ্রেফতার হন। ২৩ জানুয়ারি এবিষয়ে আলাদত তাঁদের বক্তব্য় শুনেত চেয়েছে।
এই মামলায় লালু দোষী সাব্যস্ত হলেও বিহারের আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্রর বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছিল। তবে তিনি ছাড়া পেয়ে যান। জগন্নাথ সহ মোট ছয় জনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আদালত খারিজ করে দিয়েছে। ২৩ ডিসেম্বর বিশেষ সিবিআই আদালত লালু সহ বাকীদের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় দোষী বলে ঘোষণা করে।