গোসাভি প্রতারক, ৫০ লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়া হয়, চাঞ্চল্যকর দাবি মধ্যস্থতাকারীর
গোসাভি প্রতারক, ৫০ লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়া হয়, চাঞ্চল্যকর দাবি মধ্যস্থতাকারীর
মুম্বই প্রমোদতরী মাদক কাণ্ডে নয়া তথ্য সামনে এল। এই মাদক কাণ্ডে অন্যতম সাক্ষী শ্যাম ডি’সুজা দাবি করেছেন যে আরিয়ান খানকে এই মাদক কাণ্ড থেকে আব্যাহতি দিতে কেপি গোসাভি যে ৫০ লক্ষ নিয়েছিল, সেই টাকা ডি’সুজার কথায় গোসাভি ফেরত দিয়ে দেয়। এখানে উল্লেখ্য, শ্যাম ডি’সুজা, যিনি শাহরুখ খানের ম্যানেজার পুজা দাদলানি ও কর্ডেলিয়া ক্রুজে তল্লাশি অভিযানের অন্যতম সাক্ষী কেপি গোসাভির মধ্যে আরিয়ানকে এই কাণ্ড থেকে বের করার জন্য ৫০ লক্ষ টাকার চুক্তি মধ্যস্থতা করেছিল।
৫০ লক্ষ চুক্তির মধ্যে ছিলেন না ওয়াংখেড়ে
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় ডি'সুজা জানিয়েছেন যে যে চুক্তির অভিযোগ উঠেছে তার সঙ্গে এনসিবি জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ের কোনও ভূমিকা নেই এবং গোসাভির ওয়াংখেড়ের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে এমন ভান করছিলেন। ডি'সুজা দাবি করেছেন যে গোসাভি প্রতারক এটা উপলব্ধি করার পর তিনি গোসাভিকে টাকা ফেরত দিয়ে দিতে বলেন। তবে শাহরুখের ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। ওয়াংখেড়ে এর আগেই দাবি করেছিলেন যে তিনি দাদলানির সঙ্গে কোনও ধরনের চুক্তির অংশ ছিলেন না। গত সপ্তাহেই পুনে থেকে গ্রেফতার করা হয় কেপি গোসাভিকে।
প্রভাকর সইলের বয়ানে ডি’সুজার কথা উঠে আসে
ডি'সুজার নাম উঠে আসে, যখন গত মাসে মাদক কাণ্ডে সাক্ষী প্রভাকর সইল দাবি করেছিলেন যে তিনি কেপি গোসাভির দেহরক্ষী এবং তিনি গোসাভিকে ডি'সুজার সঙ্গে ফোনে কথা বলতে শুনেছিলেন। সেই কথোপকথন অনুযায়ী পুজা দাদলানির সঙ্গে ২৫ কোটির চুক্তি হয়েছিল আরিয়ানকে এই মামলা থেকে রেহাই দেওয়ার জন্য, যেখান থেকে ৮ কোটি যেত ওয়াংখেড়ের কাছে। ডি'সুজা সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন যে দাদলানি ও গোসাভির মধ্যে ৩ অক্টোবর মধ্যস্থতার চুক্তি করার জন্য তিনি আলোচনার আয়োজন করেছিলেন।
কেপি গোসাভি প্রতারক
ডি'সুজা বলেন, 'দাদলানি, তাঁর স্বামী, গোসাভি ও আমি সহ অন্যান্যরা ৩ অক্টোবর ভোর ৪টে নাগাদ লোয়ার প্যারেলে দেখা করি।' তিনি এও জানান যে তিনি ওই জায়গা ছেড়ে চলে যান এবং তাঁকে পরে জানানো হয় যে গোসাভি আরিয়ানকে সাহায্য করার জন্য পুজা দাদলানির থেকে ৫০ লক্ষ টাকা নিয়েছে। ডি'সুজা এও দাবি করেছিলেন যে লোয়ার প্যারেলে গোসাভির ফোন বেজে উঠলে তিনি তাঁকে তা দেখিয়েছিলেন এবং গোসাভির ফোনে সমীর স্যার লেখা ফুটে উঠেছিল। কিন্তু ডি'সুজার মনে হয়েছে গোসাভি তাঁর দেহরক্ষী প্রভাকর সইলের নম্বর ওই নামে ফোনে সেভ করে রেখেছিলেন এবং এটা জাহির করতে চাইছিলেন যে চুক্তি চলাকালীন তিনি ওয়াংখেড়ের সঙ্গে কথা বলছেন। কিন্তু পরে ডি'সুজা উপলব্ধি করতে পারেন যে গোসাভি একজন প্রতারক কারণ ট্রুকলার অ্যাপে ওই নম্বরটি সইলের নম্বর দেখিয়েছে। তিনি এও দাবি করেছেন যে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গোসাভির ওপর চাপ সৃষ্টি করে ওই টাকা ফেরত দিয়ে দেওয়া হয়।
এনসিবির তল্লাশির সঙ্গে সম্পর্ক নেই ডি’সুজার
ডি'সুজা
জানিয়েছেন
যে
তাঁর
সঙ্গে
এনসিবির
তল্লাশি
অভিযানের
কোনও
সম্পর্ক
নেই।
তিনি
দাবি
করেছেন
যে
১
অক্টোবর
তাঁর
কাছে
সুনীল
পাটিল
বলে
একজনের
ফোন
আসে,
যিনি
নিজেকে
পাওয়ার
ব্রোকার
বলে
দাবি
করেন।
পাটিল
ডি'সুজাকে
জানান
যে
তাঁর
কাছে
কিছু
গুরুত্বপূর্ণ
খবর
রয়েছে
পরের
দিন
হওয়া
কর্ডেলিয়া
ক্রুজের
রেভ
পার্টি
নিয়ে।
পাটিল
এনসিবির
সঙ্গে
যোগাযোগ
করতে
চাইছিলেন,
ডি'সুজা
এরপর
গোসাভিকে
ফোন
করে
পাটিলের
সঙ্গে
কথা
বলিয়ে
দেয়।
ডি’সুজা যোগ মাদক কাণ্ডে
ডি'সুজার কথানুযায়ী, আরিয়ানের গ্রেফতারের পর গোসাভি তাঁকে ফোন করে জানান যে আরিয়ান দাদলানির সঙ্গে কথা বলতে চাইছেন। গোসাভি এও জানান যে কোনও মাদক পাওয়া যায়নি আরিয়ানের কাছ থেকে এবং তাঁদের উচিত আরিয়ানকে সাহায্য করা। দাগলানির সঙ্গে ডি'সুজার পরিচয় তাঁরই কিছু বন্ধুর মাধ্যমে। এনসিবির সঙ্গে তাঁর কি করে সম্পর্ক হল এবং মাদক পাচারকারীর যে অভিযোগ উঠেছে তা সত্যি কিনা, এ প্রসঙ্গে ডি'সুজা জানান যে তাঁর পূর্বের কোনও রেকর্ড নেই এবং তিনি একজন ব্যবসায়ী। অতীতেও মাদক নিয়ে কোনও তথ্য তাঁর কাছে আসলে তা তিনি এনসিবির আধিকারিকদের দিয়ে দিয়েছেন।