গুগল ডুডল-এর শ্রদ্ধার্ঘ ভারতের প্রথম মহিলা চিকিৎসক রুখমাবাঈকে, চিনে নিন এই মহীয়সী নারীকে
সমস্ত প্রথাগত সামাজিক ধ্যানধারণাকে উনিষ শতকেই কড়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন রুখমাবাঈ। তিনি হয়েছিলেন দেশের প্রথম প্র্যাকটিসরত মহিলা চিকিৎসক।
ব্রিটিশ ভারতে ভারতীয় মহিলাদের সেভাবে বাইরের জগতের সঙ্গে পরিচিতি ছিল না। বিদেশ শক্তি ভারতে শাসন চালাচ্ছে সেজন্য নয়, পুরুষতান্ত্রিক সমাজজীবনে ভারত তখনও পুরোপুরি আচ্ছন্ন। তবে সেসবের মাঝেও তো ব্যতিক্রম হয়। হাজারো পুরুষের ভিড়ে উঠে আসেন কোনও এক মহিলা যিনি সমান তালে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখেন। রুখমাবাঈ রাউত বা রাখমাবাঈ রাউত তাদেরই একজন।
সমস্ত প্রথাগত সামাজিক ধ্যানধারণাকে উনিষ শতকেই কড়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন রুখমাবাঈ। আর সেই জেদ ও অধ্যাবসায় থেকেই তিনি হয়েছিলেন দেশের প্রথম প্র্যাকটিসরত মহিলা চিকিৎসক। যা সেই যুগে এভারেস্ট জয়ের থেকেও বড় সাফল্য নিঃসন্দেহে।
রুখমারই সমবয়সী আর এক মহারাষ্ট্রীয় মহিলা আনন্দী গোপাল যোশী প্রথম ডাক্তারি ডিগ্রি পান। তবে তিনি প্র্যাকটিস শুরু করার আগেই প্রয়াত হন। ফলে রুখমাবাঈ প্রথম মহিলা চিকিৎসক হিসাবে প্র্যাকটিস শুরু করেন।
এর পাশাপাশি ১৮৯১ সালের যৌন সম্মতির বয়স সম্পর্কিত ঐতিহাসিক আইনের সঙ্গেও এই মহিলার সম্পর্ক রয়েছে। তিনি ১৮৬৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন মহারাষ্ট্রে। বয়স মাত্র ১২ বছর হতেই বিয়ে হয়ে যায় ১৯ বছরের যুবক দাদাজী ভীকাজী রাউতের সঙ্গে।
তার আগে রুখমাবাঈয়ের পিতা জনার্দন পাণ্ডুরাং নিজের সম্পত্তি মেয়েকে ভাগ দিয়ে যান। তার কিছুদিন পরে তিনি মারা যাওয়ার পরে বিয়ে হলেও স্বামী ভীকাজীর সঙ্গে থাকতে চাননি রুখমাবাঈ। সেই নিয়ে আদালতে মামলা করেন ভীকাজী। অভিযোগ করা হয়, পিতার সম্পত্তির লোভেই রুখমা শ্বশুরবাড়ি যেতে চাইছেন না। যদিও এত কমবয়সে বিয়ে নিয়ে রুখমার আপত্তি ছিল ও তিনি প্রতিবাদী হয়েছিলেন। যে মামলায় তিনি পরে জয়ী হন ও সঙ্গমের সম্মতির বয়স নিয়ে আদালত যুগান্তকারী রায় দেয়।