Goa poll 2022: কর্মসংস্থান, দুর্নীতি মোচন আর খনিজ উত্তলন, তিন অস্ত্রে ভোট যুদ্ধ জয়ের বার্তা কেজরিওয়ালের
Goa poll 2022: কর্মসংস্থান, দুর্নীতি মোচন আর খনিজ উত্তলন, তিন অস্ত্রে ভোট যুদ্ধ জয়ের বার্তা কেজরিওয়ালের
গোয়া বিধানসভা নির্বাচনের তোরজোর শুরু করে দিয়েছে আপ। কী হবে দলের অ্যাজেন্ডা ঘোষণা করলেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ১৩ পয়েন্টের অ্যাজেন্ডা ঘোষণা করেছেন িতনি। তারমধ্যে অন্যতম কর্মসংস্থান, দুর্নীতি দূরীকরণ এবং খনিজ উত্তোলন পুনরায় শুরু করা।
কেজরিওয়ালের ভোট প্রতিশ্রুতি
গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে একের পর এক প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিয়েছেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। রবিবার পানাজিতে একটি সম্মেলনে যোগ দিয়ে কেজরিওয়াল বলেছেন, যদি তাঁরা ক্ষমতায় আসেন তাহলে আগামী ৫ বছরে গোয়ার প্রত্যেকটি পরিবার বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে ১০ লক্ষ টাকার সুবিধা পাবে। সেই সঙ্গে দুর্নীতি মুক্ত গোয়া গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। কেজরিওয়াল বলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়েও দুর্নীতি মুক্ত ভারত গড়তে পারেননি। সেটা গোয়ায় করে দেখাবে আপ। তিনি দাবি করেছেন দেশের সবচেয়ে সৎ সরকার চালান তিনি। রাজধানী দিল্লিতে আপের নেতত্বে সবচেয়ে সৎ সরকার চলে। প্রধানমন্ত্রী মোদীও সেই সততার সার্টিফিকেট দিয়েছে কেজরিওয়াল সরকারকে। এমনই দাবি করেছেন তিনি।
কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি
মূলত পর্যটন নির্ভর রাজ্য গোয়া। দেশের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র বলতে যার নাম প্রথমে আসে সেটা গোয়া। বিদেশী পর্যটকরা বেশি ভিড় করেন গোয়ায়। কিন্তু করোনা আবহে হত ২ বছর ধরে গোয়ার পর্যটন শিল্পে ধাক্কা েখয়েছে। যার জেরে কর্মসংস্থানে টান পড়েছে। অনেক হোটেল, রিসর্ট, রেস্তরাঁ ধাক্কা খেয়েছে ব্যবসায়। এর ফরে গোয়া বেকারত্বের সংখ্যা বেড়েছে। তাই ২০২২-র বিধানসভা ভোটে সব রাজনৈতিক দলের কাছেই বড় অস্ত্র কর্মসংস্থান। অরবিন্দ কেজরিওয়ালও সেই অস্ত্রেই শান দিয়েছেন। তিনি গোয়ার যুবাদের কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
খনিজ উত্তোলনের প্রতিশ্রুতি
পর্যটন আর অল্পবিস্তর চাষ এই নিয়েই গোয়ার অর্থনীতি চলে। খনিজ উত্তোলন প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল গোয়ায়। সেটাকে আবার জাগিয়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি বলেছে গোয়ায় ক্ষমতায় এসে ফের খনিজ উত্তোলন শুরু করবেন িতনি। তাতে কর্মসংস্থানও বাড়বে আবার রাজ্যে আয়ও হবে বেশি। মোটের উপর রাজ্যের উন্নয়নের ঢালাও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
ভোটের তোরজোর শুরু
গোয়া ভোট ১৪ ফেব্রুয়ারি। হাতে বেশি সময় নেই। সব রাজনৈতিক দলই নেমে পড়েছে ময়দানে। গোয়া বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে তত চাপ বাড়ছে বিজেপির। উত্তর প্রদেশের মতই গোয়াতেই দলে ভাঙন শুরু হয়েছে।একের পর এক বিজেপি নেতা দল ছেড়ে বেরিয়ে আসছেন। বিশেষ করে চাপ বেড়েছে ক্রিশ্চান ভোট ব্যাঙ্কে। একের পর এক নেতা দল ছাড়তে শুরু করে দিয়েছেন। কংগ্রেসে না হলে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে শুরু করেছেন একাধিক নেতা। এবারই প্রথম গোয়া বিধানসভা ভোটে লড়বে তৃণমূল কংগ্রেস।