Goa Election 2022: ক্ষমতায় আসার পর গোয়ায় সব থেকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে বিজেপি! উঠে আসছে যেসব কারণ
Goa Election 2022: ক্ষমতায় আসার গোয়ায় সব থেকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে বিজেপি! উঠে আসছে যেসব কারণ
বিজেপি (BJP) প্রথমে ভেবেছিল গোয়ায় (Goa) মনোহর পারিক্কররের ছেলে উৎপলকে বুঝিয়ে তারা বাগে আনতে পারবে। কিন্তু সেই উৎপল নির্দল হিসেবে লড়াইয়ের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন। এখানেই শেষ নয়, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মীকান্ত পারসেরেকর এবং আরও দুই বর্ষীয়ান নেতাও ভোটের মুখে দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। সব মিলিয়ে এবারের নির্বাচনে বিজেপি ৪০ আসনের ছোট রাজ্যে বড় চ্যালেঞ্জের (challenge) মুখে।
উৎপলের পদক্ষেপে ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি
উৎপল
পারিক্করের
অবস্থান,
তাঁর
পরিচিতি
এর
থেকেও
বড়
স্থানীয়
এবং
জাতীয়
সংবাদ
মাধ্যম
যেভাবে
প্রচার
করা
হয়েছে,
তাতে
বিজেপি
অনেকটাই
ব্যাকফুটে
বলেই
মনে
করছেন
রাজনৈতিক
বিশ্লেষকরা।
কেননা
উৎপল
এমন
একজনের
ছেলে,
যিনি
গোয়ায়
বিজেপিকে
প্রায়
দুদশক
ধরে
রেখেছিলেন।
গোয়ার
দায়িত্বপ্রাপ্ত
বিজেপি
নেতা
দেবেন্দ্র
ফড়নবিশ
গত
সপ্তাহে
জানিয়েছিলেন,
দলই
একটি
পরিবার।
ফলে
নিয়মের
ক্ষেত্রে
কেউ
ব্যতিক্রম
নয়।
উৎপল
নিজে
সিদ্ধান্ত
নেওয়ায়
দল
দুঃখিত
বলেও
মন্তব্য
করেছিলেন
তিনি।
পাশাপাশি
তিনি
এও
বলেছিলেন,
পানাজির
বদলে
তাঁকে
দুটি
আসনের
প্রস্তাব
দিয়েছিল।
কিন্তু
তিনি
তা
প্রত্যাখ্যান
করেছেন।
তিনি
আরও
বলেছিলেন
পরিবারের
ভিত্তিতে
কোনও
দাবি
নয়,
কা
জ
করে
তাঁকে
দলে
জায়গায়
করে
নিতে
হবে
বলেও
জানিয়েছিলেন।
ক্ষুব্ধ গৌড় সারস্বত ব্রাহ্মণ সমাজ
অন্যদিকে উৎপলের দাবিতে সম্মত না হওয়ায় সেখানকার গৌড় সারস্বত ব্রাহ্মণ সমাজ ক্ষুব্ধ। মনোহর পারিক্করের অধীনে এই সম্প্রদায় বিজেপিকে সমর্থন করেছিলেন। যদিও সেখানে নেতাদের সন্তানদের মনোনয়ন পাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে বলেই জানিয়েছেন সেখানকার রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
অনেকেই নির্দল হিসেবে লড়াইয়ে নেমেছেন
শুধু
উৎপল
পারিক্করই
নন,
দলের
প্রার্থী
হওয়ার
দাবিদার
অনেকেই
নির্দল
হয়ে
লড়াই
করছেন
এবারের
ভোটে।
এই
তালিকায়
যুক্ত
হয়েছেন
বর্তমান
উপমুখ্যমন্ত্রী
চন্দ্রকান্ত
বাবু
কাভলেকরের
স্ত্রী
সাবিত্রী।
তাঁকে
মনোনয়ন
না
দেওয়ায়
নির্দল
হিসেবে
মনোনয়ন
দাখিল
করেছেন।
যা
নিয়ে
ভোটের
প্রচারে
বেরিয়ে
কংগ্রেস,
আপ,
এমজিপি
কিংবা
তৃণমূল
কংগ্রেস
সবাই
এই
বিষয়টিকে
নিয়েই
কটাক্ষ
করছেন।
বিশেষজ্ঞরা
বলছেন,
গত
১০
বছরে
দলের
মধ্যে
ক্ষমতার
দ্বন্দ্ব
বেড়েছে।
যার
জেরে
গত
পাঁচ
বছরে
৪
জন
উপমুখ্যমন্ত্রী
দেখেছে
গোয়া
এবং
সেখানে
অন্তত
১৫
জন
দলবদল
করেছে।
ওবিসিদের নিয়ে বিজেপিতে কোন্দল
গোয়ায় বিজেপি মনে করছে তারা ওবিসিদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছে। যদিও গোয়ায় এবারের নির্বাচনে ওবিসি ভোট নিয়ে লড়াই হতে চলেছে এমজিপি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে। গোয়ায় বিজেপির অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী এমজিপি। অথচ সেই এমজিপির হাত ধরেই ১৯৯৪ সালে গোয়ায় খাতা খুলেছিল বিজেপি। ১৯৯৪ সালের ৬.৭২ শতাংশ ভোটেক থেকে ২০১২ সালে ৩৪.৬৮ শতাংশ ভোট পেয়েছিল বিজেপি সেই এমজিপিকে সঙ্গে করেই। সেই জোট ভেঙে যায় ২০১৭ সালে। ২০১৭ সালে তারা একা লড়াই করে ১১.২৭ শতাংশ ভোট পায়। ১৯৬১ সালে গোয়ার মুক্তির পরে ১৭ বছর টানা এই দলই গোয়া শাসন করেছেন। সেখানকার ওবিসিদের মধ্যে এই দলের ভাল প্রভাবও রয়েছে।
বিজেপির খ্রিস্টান প্রার্থী বেড়েছে গোয়ায়
২০১২ সালে ছয় খ্রিস্টানকে প্রার্থী করে ছটি আসনই জিতেছিল গেরুয়া শিবির। ২০১৭-তে আটজনকে প্রার্থী করে সাতটি আসনে জিতেছিল। যদিও ২০১২ সালে বিজেপি আসন সংখ্যা ২১ থেকে ২০১৭-তে ১৩-তে নেমে এসেছিল। এবার গেরুয়া শিবির ১২ জন খ্রিস্টানকে প্রার্থী করেছেন। প্রসঙ্গত গোয়ায় খ্রিস্টান জনসংখ্যা প্রায় ২৬ শতাংশের মতো।
বিজেপির মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে লড়াই
এই মুহূর্তে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ন্ত। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাউকে সামনে না আনলেও তাঁর সঙ্গে লড়াই স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্বজিৎ রানের, এমনটাই বলছেন সেখানকার রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিশ্বজিৎ রানে রানে বংশের একজন মারাঠ। ২০১৭-তে তিনি কংগ্রেস থেকে মুখ্যমন্ত্রী পদের আশায় যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। যদিও পরে সেখানে আরএসএস ঘনিষ্ঠ প্রমোদ সাওয়ন্তকে মুখ্যমন্ত্রী করে বিজেপি। বিশ্বজিৎ রানের স্ত্রী দেবিয়া রানেও এবার বিজেপি প্রার্থী। যদি দুজনেই জিততে পারেন, তাহলে তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার হয়ে উঠতে পারেন। বিশ্বজিৎ রানে বাবা ছিলেন সেখানকার কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী প্রতাপ সিং রানে।