ভোটের মুখে বিজেপির সঙ্গ ছাড়লেন বিধায়ক, নাম লেখাতে চলেছেন বিরোধী শিবিরে
ভোটের মুখে বিজেপির সঙ্গ ছাড়লেন বিধায়ক, নাম লেখাতে চলেছেন বিরোধী শিবিরে
গোয়া বিধানসভা ভোটের আগে বাড়ছে উত্তাপ। বিজেপি ছাড়লেন বিজেপি বিধায়ক এবং মন্ত্রী মাইকেল লিবো। তিনি জানিয়েছেন নিজের বিধানসভা এলাকার মানুষদের কথা ভেবেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিেজপি বিধায়কের দল ছাড়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়ে গিয়েছে জল্পনা। তৃণমূল কংগ্রেস না কংগ্রেস কোন দলে যোগ দিতে চলেছেন বিজেপি নেতা।এই নিয়ে জল্পনার পারদ চড়ছে ভোটমুখী গোয়ায়।
দল ছাড়লেন বিজেপি বিধায়ক
দল ছাড়লেন গোয়ার বিজেপি বিধায়ক মাইকেল লিবো। তিনি নিজে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, 'মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েেছন। নিজের বিধানসভা এলাকার মানুষদের কথা ভেবেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন, মন্ত্রী পদথেকে তিনি ইস্তফা দিয়েছেন মানুষের কথা ভেবেই। আমার বিধানসভা এলাকার মানুষ নিশ্চয় বুঝবেন সেকথা। বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছিল। এখনও পরের পদক্ষেপ চূড়ান্ত করিনি। একাধিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা হয়েছে।'
প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ
বিধায়ক এবং মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর লিবো প্রকাশ্যেই বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। দল যেভাবে দলের নেতা কর্মীদের সঙ্গে আচরণ করছে তা অত্যন্ত দুঃখ জনক। এবং তিনি নিজে সেই কারণে দুঃখ পেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন। অর্থাৎ প্রকাশ্যেই তিনি দল ছাড়ার নেপথ্যে কারণ ব্যাখ্যা করে দিয়েছেন। দলের থেকে কাজ করতে পারছিলেন না বলেও অভিযোগ করেছেন লিবো। তিনি প্রকাশ্যে এই ঘটনার সমালোচনা করেছেন। বঙ্গ বিজেপির মত গোয়াতেও দলের অন্দরে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বিজেপির। লিবোর এই পদক্ষেপে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
চাপ বাড়ল বিজেপি
লিবোর পদত্যাগের পর ভোটের মুখে বেশ চাপ বেড়েছে গোয়া বিজেপির। কারণ সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাকি। তার মধ্যে দলের নেতারা বিদ্রোহী হয়ে উঠলে অন্যান্য অনেক নেতাই প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করতে পারেন। কারণ ভোটের ঠিক আগে সব রাজনৈতিক দলের কাছেই এই সময়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়। দলের ভাবমূর্তি সাধারণ মানুষের কাছে স্বচ্ছ এবং দুর্নীতি মুক্ত রাখতে তৎপর হন তারা। লিবোর প্রকাশ্যে বিদ্রোহতে দলের ভাবমূর্তিতে যে আঘাত লেগেছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
কোন দলে যাচ্ছে লিবো
পদত্যাগ করে নিজের পরবর্তী অবস্থান স্পষ্ট করেননি লিবো। তিনি কেবল বলেছেন একাধিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা হয়েছে। এবার তৃণমূল কংগ্রেস না কংগ্রেস কোন রাজনৈকিত দলে তিনি যোগ দেবেন তা এখনও ঠিক করেননি। গোয়ায় কংগ্রেস খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থায় নেই। একাধিক কংগ্রেস নেতা যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। লিবোও সেই পথে পা বাড়াতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসে ধীরে ধীরে শক্তি বাড়াতে শুরু করে দিয়েছে গোয়ায়। যদিও এবারই প্রথম গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে লড়বে তৃণমূল কংগ্রেস। সেকারণেই একটা ঝুঁকিও থেকে যেতে পারে।