বাংলার কৃষিতে আসতে চলেছে ভয়ঙ্কর দিন! বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট বিজ্ঞানীদের
ভারতবর্ষের কৃষিক্ষেত্রে সার্বিকভাবে বড় ধাক্কা দিতে চলেছে আবহাওয়ার বদল।
ভারতবর্ষের কৃষিক্ষেত্রে সার্বিকভাবে বড় ধাক্কা দিতে চলেছে আবহাওয়ার বদল। নেতিবাচক এই ধাক্কায় ২০২০ সালের মধ্যে সারা দেশে চাল উৎপাদন কমপক্ষে ৪ শতাংশ কমে যাবে বলে বিজ্ঞানীরা আশঙ্কার বাণী শুনিয়েছেন। বাকী খাদ্যশস্য ও আনাজের ক্ষেত্রে বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব আরও বড় আকারে পড়বে বলে জানানো হয়েছে।
কমবে উৎপাদন
যেমন আলু উৎপাদন ১১ শতাংশ কমে যাবে ২০২০ সালের মধ্যে। এছাড়া শস্য চাষে ১৮ শতাংশ ঘাটতি হবে। সরষে উৎপাদন ২ শতাংশ কমে যাবে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। তবে কখন বীজ বপন করা হচ্ছে, কী ধরনের বীজ বোনা হচ্ছে, সেচ, সার ইত্যাদি শস্য চাষে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
বাড়বে নারকেলের উৎপাদন
বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে অন্যদিকে নারকেলের উৎপাদন বেড়ে যাবে কেরল, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, উত্তর-পূর্বের রাজ্য ও আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে। পাশাপাশি শস্য চাষে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশায়। কমে যাবে দুধের উৎপাদনও।
ক্ষতি বেশি বাংলায়
সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান ও পশ্চিমবঙ্গে। এমনকী গবাদি পশু প্রতিপালনেও দুঃস্বপ্নের দিন আসতে চলেছে বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। ছোট চাষি যাদের কাছে ৪ হেক্টরের কম জমি রয়েছে তাঁরা চাষের আয় থেকে সংসার চালাতে পারবেন না। যার ফলে দেশের সিংহভাগ চাষি মুশকিলে পড়তে চলেছেন বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
জলেরও আকাল হবে
বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে টোম্যাটো ও পেঁয়াজ চাষেও প্রভাব পড়বে। ২০২০ সালের মধ্যে তা ২৭ শতাংশ অবধি কমে যেতে পারে। এছাড়া জলের আকালও বড় হয়ে দেখা দিতে পারে। কারণ বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১৫ শতাংশ ভারতের অধিবাসী হলেও এদেশে ব্যবহার যোগ্য জল রয়েছে মাত্র ৪ শতাংশ। ফলে আকাল যে পড়বে তাতে সন্দেহ নেই।