দ্বিগুণ হারে গলছে হিমবাহ! উত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ তুষারধসের কারণ কী তবে জলবায়ু পরিবর্তন?
দ্বিগুণ হারে গলছে হিমবাহ! উত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ তুষারধসের কারণ কী তবে জলবায়ু পরিবর্তন?
২০১৩ সালে প্রবল বৃষ্টি আর বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে ছিল কেদারনাথ গৌরীকুণ্ড সহ এই রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা।বিশালাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল গোটা রাজ্যে। প্রাণ গিয়েছিল হাজার হাজার মানুষ। এদিকে গতকাল উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ধৌলিগঙ্গা নদীর উপর প্রবল তুষারধসের ভয়াবহ ঘটনায় ফের সামনে এল সেই স্মৃতি। তবে এই ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তনকেই মূলত কাঠগড়ায় তুলছেন বিশেষজ্ঞরা।
দ্বিগুণ হারে গলছে হিমবাহ
এদিকে হিমালয়ের হিমবাহ গুলি যে বর্তমানে দ্বিগুণ হারে গলছে সেই পূর্বভাস আগেই দিয়েছিলেন আবহাওয়াবিদরা! বর্তমানে এই সংক্রান্ত ২০১৯ সালের রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্য নিয়েই ফের জোরদার আলোচনা শুরু হয়েছে৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন একবিংশ শতকের শুরু থেকেই এমনটা হচ্ছে৷ তবে এর মূল কারণ হিসাবে বিশ্ব উষ্ণায়নের দিকেই আঙুল তুলছেন সকলে।
৮ মাস আগেই সতর্ক করা হয়
এছাড়াও বহু বিজ্ঞানী ৮ মাস আগেও সতর্ক করে ছিলেন উত্তরাখণ্ড ও জম্মু-কাশ্মীরের এমন সব হিমবাহ রয়েছে তা যে কোনও সময় ফেটে যেতে পারে। এদিকে জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরাখণ্ড ও হিমাচলপ্রদেশের পার্বত্য এলাকায প্রায় ২০০টিরও বেশি হিমবাহ রয়েছে। যার মধ্যেই বেশিরভাগই জলবায়ু পরবির্তনের কারণে এখন দ্বিগুণ হারে গলছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কেন্দ্রীয় বন, পরিবেশ ও জলবায়ু বদল মন্ত্রকের উচ্চ পদস্থ পরামর্শদাতা সোমনাথ ভট্টাচার্যও বলছেন, 'জলবায়ু বদলের প্রভাব হিমবাহের উপরে পড়ছে। তাই হিমবাহগুলির উপরে নিখুঁত নজরদারি প্রয়োজন।এদিকে শীতের সময় হিমবাহ পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব নয়। মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত হিমবাহ পরিদর্শন করা হয়। আর ঠিক সেই কারণেই এবারের বিপত্তি বলে মনে করা হচ্ছে।
৪০ বছরে বড়সড় জলবায়ু পরিবর্তন
এদিকে ২০১৯ সালের ওই সমীক্ষায় দেখানো হয়, গত ৪০ বছরে জলবায়ুর পরিবর্তন ভারত, চিন, নেপাল, ভুটানের হিমবাহগুলিকে দ্রুত গলিয়ে দিচ্ছে। তা থেকে তৈরি হচ্ছে বন্যার আশঙ্কা। ১৯৭৫ সাল থেকে ২০০০ পর্যন্ত উত্তরাখণ্ড সংলগ্ন হিমালয়ের যে তাপমাত্রা ছিল ২০০০ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত তা ১ ডিগ্রি বেড়েছে। এমনকী ১৯৭৫-২০০০ সাল পর্যন্ত হিমালয় অঞ্চলের হিমবাহগুলির গড়ে ০.২৫ মিটার বরফ গলেছে বলে জানা যাচ্ছে।
হড়পা বানে তছনছ উত্তরাখণ্ডের চামোলি
এদিকে গতকালই হিমবাহ ভেঙে হড়পা বানে তছনছ উত্তরাখণ্ডের চামোলি। যদিও রবিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত সবই ঠিকঠাক ছিল উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায়।আবহাওয়াও ছিল মনোরম। কিন্তু তারপরেই ঘটে এই বড়সড় বিপত্তি। গতকাল রাত পর্যন্ত মোট ১৭০ জনের নিখোঁজ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ১৬ জনকে। ১০ থেকে ১৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে বলেও খবর।
শশীকলার 'ঘর ওয়াপসি' বলে কথা! ঝড়ের আশঙ্কায় ঘর গোছাতে ব্যস্ত এককালের সাগরেদ