
এক বছরের মধ্যে নাতি-নাতনি বা ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ':এক বৃদ্ধ দম্পতির ছেলের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই
বয়সটা যখন ৬০ ছুঁই ছুঁই তখন থেকে বৃদ্ধ বা বৃদ্ধার তালিকায় নাম উঠতে শুরু করে। বৃদ্ধজীবন কিন্তু আরো একবার ছোটবেলাকে মনে করিয়ে দেয়। তখন মানুষ অতো তত্ত্ব কথা বা যৌক্তিকতায় যায় না। মনটা থাকে সাবলীল। বয়স বাড়লে মন যেন আরো অবুঝ হতে শুরু করে। তখন তাদের কাছে পরম সঙ্গী হয়ে ওঠে একটি শিশু। নিজের নাতি নাতনি, হলে তো কথাই নেই। অনেকেই এই স্বাদ সহজেই গ্রহণ করতে পারেন, তেমন আবার অনেকেই এই সুযোগটি পায় না।

নাতি নাতনির আশায় এক অদ্ভুত মামলা নিয়ে ছেলে এবং পুত্রবধূর বিরুদ্ধে আদালতে দ্বারস্থ হয়েছেন এক বৃদ্ধ দম্পতি।
উত্তরাখণ্ডে, এক দম্পতি তাদের ছেলে এবং পুত্রবধূর বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করেছেন, নাতি নাতনি বা ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৫ কোটি টাকা দিতে হবে। এই মামালটি রীতিমতো সারা ফেলেছে দেশে।
হরিদ্বার থেকে বৃদ্ধ দম্পতি বলেছেন যে, তারা তাদের ছেলের শিক্ষায় অর্থ বিনিয়োগ করেছেন। তাদের বাড়ি তৈরির জন্য ঋণ নিতে হয়েছিল এবং এখন আর্থিকভাবে ভেঙে পড়েছে।
তারা তাদের ছেলে এবং পুত্রবধূর কাছে একটি নাতি বা আড়াই কোটি টাকা দাবি করেছেন।
২০১৬ সালে নাতি-নাতনির আশায় তারা ছেলেকে বিয়ে দেন। কিন্তু এখনও অবদি তারা নাতি বা নাতনির মুখ দেখতে পারেন নি। শুধু একটি নাতি-নাতনি চেয়েছিলেন,এমনটাই জানিয়েছেন আবেদনকারী, এসআর প্রসাদ ।
তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ছেলেকে তিনি মোটা অঙ্কের বিনিময়ে আমেরিকায় উচ্চ শিখার জন্য় পাঠিয়েছেন। পরিশ্রমের বেশিরভাগ টাকা ছেলের পড়াশোনাতেই খরচ করেছেন।
মাঝ আকাশে পাইলট অসুস্থ, সুস্থভাবে বিমান মাটিতে নামিয়ে আনলেন যাত্রী
বাড়ি তৈরির জন্য ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছেন। আর্থিক এবং ব্যক্তিগতভাবে সমস্যায় আছেন। বৃদ্ধ বৃদ্ধা প্রত্যেকে আড়াই কোটি টাকা দাবি করেছেন। তারা ছেলে এবং পুত্রবধূ উভয়ের কাছ থেকেই আবেদন করেছেন।
বৃদ্ধ দম্পতির আইনজীবী এ কে শ্রীবাস্তব বলেন, মামলাটি আধুনিক সমাজের সত্যকে তুলে ধরে। তিনি জানান,প্রত্যেক বাবা মা সন্তানদের জন্য বিনিয়োগ করে, তাদের ভালো প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে সক্ষম করে তোলা হয়। সন্তানরা পিতামাতার মৌলিক আর্থিক যত্নের জন্য ঋণী। এই উদ্দেশ্যে অভিভাবকরা এক বছরের মধ্যে একটি নাতি-নাতনি বা ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।