৫০ ঘন্টার লড়াই শেষ, পাতকুয়ো থেকে উঠল চার বছরের অক্ষতার নিথর দেহ
মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় উদ্ধারকাজ। কিন্তু এদিন চার বছরের অক্ষতা হনুমন্ত পাটিলের নিথর দেহটি খুঁজে পান উদ্ধারকর্মীরা। ইতিমধ্যেই ওই মৃতদেহে পচন ধরতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক গুন্ডাপ্পা। ২৬ ফুট গভীর থেকে অক্ষতার দেহ টেনে তোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা।
অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার কবিতা জানিয়েছেন অক্ষতা ওই উন্মুক্ত পাতকুয়োয় পড়ে ২৫-২৫ ফুট নীচে গিয়ে আটকে যায়। অক্ষতাকে উদ্ধার করতে ওই পাতকুয়োর সমান্তরাল আর একটি কুয়ো খোঁড়ে উদ্ধারকারী দল। অক্ষতাকে উদ্ধার করতে আনুভূমিক একটি সুড়ঙ্গ তৈরি করেন তারা।
বাবার সঙ্গে মাঠে যেতে গিয়ে ওই উন্মুক্ত ওই পাতকুয়োতে পড়ে যায় অক্ষতা। যে জায়গায় অক্ষতা পড়ে গিয়েছিল সেখানে ভারী একটি লোহার দণ্ড ফেলা হয়। প্রতিমুহূর্তে আক্ষতাকে অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছিল। বীজাপুর জেলার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ঘটনাটি ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই উদ্ধারকর্মীদের কাজে লাগানো হয়।
উদ্ধারকাজে জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী,দমকল, পুলিশ ও হুট্টি স্বর্ণখনির কর্মীদের লাগানো হয়েছিল। কিন্তু একটা সময় খনন কার্যের সময় পাথুরে জমি হওয়ার কারণে কিছুটা অতিরিক্ত সময় অক্ষতার কাছে পৌছতে লেগে যায় বলেও জানিয়েছিল উদ্ধারকারী দল।
অক্ষতার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বীজাপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য ২০০৬ সালে হরিয়ানায় এভাবেই উন্মক্ত ৫৫ ফুট গভীর পাতকুয়োয় পড়ে গিয়েছিল প্রিন্স। তাঁকে উদ্ধার করতে একইভাবে সমান্তরাল কুয়ো খুড়ে আনুভূমিক সুড়ঙ্গ তৈরি করে টানা ৪৯ ঘন্টার লড়াইয়ের পর উদ্ধার করা হয়েছিল প্রিন্সকে। কিন্তু কর্ণাটকের অক্ষতাকে উদ্ধারের জন্য ৫০ ঘন্টার লড়াইয়ের পর মিলল শুধু তাঁর আংশিক পচন ধরা নিথর দেহটি।