কানহাইয়া কুমারের সম্ভাবনা অস্তাচলে! হারের ভয় উড়িয়ে বিপুল জয় বিজেপির
প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও বেগুসরাই থেকে কানাহাইয়া কুমারের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন বিজেপির গিরিরাজ সিং। তাঁর জয় নিয়েও অনেকে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন ভোটের আগে।
প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও বেগুসরাই থেকে কানাহাইয়া কুমারের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন বিজেপির গিরিরাজ সিং। তাঁর জয় নিয়েও অনেকে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন ভোটের আগে। সিপিআই প্রার্থী কানহাইয়া কুমারের পালেই হাওয়া বইয়ে দিয়েছিলেন তাবড় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। সেইসব জল্পনা ধুলোয় মিশিয়ে কানহাইয়া কুমারকে স্রেফ উড়িয়ে দিলেন গিরিরাজ সিং।
কানহাইয়া কুমার গোহারা
বৃহস্পতিবার লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল বেরনোর পরই দেখা যায় সিপিআই প্রার্থী কানহাইয়া কুমার গোহারা হন বেগুসরাই কেন্দ্রে। বিজেপি'র কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বেগুসরাই আসনে চার লাখেরও বেশি ভোটে জয় পান। অথচ তিনি এই কেন্দ্রে ভোটে দাঁড়াতেই চাননি।
জয়ের ব্যবধান বিপুল
নওদা থেকে বেগুসরাই কেন্দ্রে মনোনয়ন পান গিরিরাজ সিং। অনিচ্ছা নিয়ে ভোটে লড়েও তিনি চতুর্থ দফার নির্বাচনে ১২.১৭ লক্ষ ভোটের মধ্যে ৬.৯২ লক্ষ ভোট পান। কানহাইয়া কুমার পান মাত্র ২.৭ লক্ষ ভোট। কানহাইয়া কুমারের বিরুদ্ধে তাঁর জয়ের ব্যবধান ছিল ৪.২২ লক্ষ। অন্যদিকে আরজেডির মহম্মদ তালভীর পান মাত্র ১.৯৮ লক্ষ ভোট।
জোট হলেও হাল ফিরত না
এবার বিহারে বিরেধী জোট নিয়ে ভোটের আগে পর্যন্ত কথা চলেছে। কিন্তু কেউ নমনীয় না হওয়ায় পরিপূর্ণ জোট হয়নি। সিপিআইকে জোটের বাইরে রাখা হয়। কানহাইয়া কুমারকে সমর্থন করেনি আরজেডি বা কংগ্রেস। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে গিরিরাজ সিং মাত দিয়ে যান। যদিও জয়ের মার্জিন কিন্তু জোট-তত্ত্বকেও উড়িয়ে দিয়েছে। তিনি চার লাখেরও বেশি ভোটে জিতেছেন।
জয়ের পরই সংঘর্ষ
এদিকে গিরিরাজ সিংয়ের জয়ের পর বিজেপি ও সিপিআই সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বেগুসারাইয়ের সিপিআই অফিসের কাছে বিজেপি সমর্থকরা বাজি ফাটায়। তা নিয়েই সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ জানায়, দুই দল একে অপরকে পাথর ছুঁড়ে ফেলে। এরপর এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
গতবারের ফল
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী ভোলা সিং বেগুসরাইকে ৪.২৮ লক্ষ ভোট পেয়েছিলেন। মহম্মদ তানভীর ৫৫ হাজারের সামান্য বেশি ভোটে জিতেছিলেন।