বাংলার রসগোল্লা ফের পরীক্ষায়, জিআই ট্যাগের অধিকার নিয়ে শুনানি সেপ্টেম্বরেই
বাংলার পর ওড়িশার রসগোল্লাও জিআই ট্যাগ পেয়েছে। ফলে বাংলা একাধিপত্যে ভাগ বসেছে। বাংলা আর বলতে পারবে না রসগোল্লা বাংলার একার।
বাংলার পর ওড়িশার রসগোল্লাও জিআই ট্যাগ পেয়েছে। ফলে বাংলা একাধিপত্যে ভাগ বসেছে। বাংলা আর বলতে পারবে না রসগোল্লা বাংলার একার। এই পরিস্থিতিতে 'বাংলার রসগোল্লা' কথাটি নিয়ে প্রশ্ন উঠে পড়ল। এই মর্মে বাংলার রসগোল্লা নিয়ে একটি শুনানি হবে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর। ওইদিন বাংলার দাবি খর্ব হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন বা জিআই রেজিস্ট্রির তরফে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দুটি দফতর-রাজ্য খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যান উন্নয়ন কর্পোরেশন এবং পেটেন্ট তথ্য কেন্দ্র, উচ্চ শিক্ষা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগকে নোটিশ দিয়েছে।
চেন্নাই ভিত্তিক জিআই রেজিস্ট্রিতে আবেদন করেছেন রমেশচন্দ্র সাহু নামে এক আবেদনকারী। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে চিঠি দিয়ে বাংলার সরকারকে জানানো হয়েছে। ওইদিন হাজির থাকতে বলা হয়েছে বাংলাকে। জিআই রেজিস্ট্রি থেকে প্রাপ্ত চিঠিতে বলা হয়েছে, উপস্থিত না থাকলে জিআই আইন ও বিধি অনুসারে মামলাটিতে পেশ করা পূর্বের কাগজপত্রের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বাংলার রসগোল্লার কীভাবে জিআই ট্যাগ মঞ্জুর করা হয়েছে, সে বিষয়ে বিশদ চেয়ে এই পিটিশন দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এর আগে ওড়িশা ২০১৫ সালে রসাগোল্লার জিআই ট্যাগের জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু তা বাতিল হয়ে ২০১৭ সালে বাংলার রসগোল্লাকেই স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
এরপর ২০১৯-এর ২৯ জুলাই ওড়িশা বাংলার অধিকারে ভাগ বসিয়ে জিআই ট্যাগ আদায় করে নেয়। ওড়িশার তরফ থেকে দাবি করা হয়, ভুবনমোহিনী মিষ্টান্নের উৎসভূমি মহানদীর তীরবর্তী অঞ্চলে। সেই দাবির সমর্থনে প্রমাণ সংগ্রহ করার পরই জিআই ট্যাগ পেল ওড়িশা। দু-বছর আগে মর্যাদা হারানোর পর কমিটি গঠন করে প্রমাণ জোগাড়ের তোড়জোড় চলে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের নভেম্বরে রসগোল্লার উৎসভূমি হিসেবে বাংলার নাম ঘোষণা হয়েছিল। রসগোল্লার আবিষ্কর্তার হিসেবে নবীনচন্দ্র দাসের নাম উঠে এসেছিল। তা সত্ত্বেও ওড়িশার দাবি ছিল, বাংলার রসগোল্লা আগে আবিষ্কার করলেও ওড়িশার রসগোল্লা অন্য সবার থেকে একেবারেই স্বতন্ত্র। একেবারেই ভিন্ন প্রকৃতির রসগোল্লা। এই রসগোল্লা রসালো, নরম এবং মুখে দিলেই গলে যায়। উল্লেখ্য, বাংলার রসগোল্লার খ্যাতি তার স্পঞ্জ প্রকৃতির জন্য।