আরও ৫০ বছর বিরোধী আসনে বসবে কংগ্রেস, গান্ধী বিরোধিতার সুর চড়াচ্ছেন সিব্বল-আজাদ!
ফের কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন কপিল সিব্বল এবং গুলাম নবি আজাদ। কংগ্রেসের ক্রমাগত পতনের দিকে এগিয়ে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না এই দুই বর্ষীয়ান নেতা। বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে মুখ খুলে দুই নেতাই কংগ্রেসের বিভিন্ন প্রশাসনিক পদের জন্যে নির্বাচন সংগঠিত করার দাবি জানান। তাঁদের বক্তব্য, যদি এটা না করা হয়, তাহলে কংগ্রেস আগামী ৫০ বছর বিরোধী আসনে বসতে বাধ্য হবে।
আরও ১৫ বছর আগে নির্বাচন হওয়া উচিত ছিল
এই বিষয়ে গুলাম নবি আজাদ বলেন, 'গত কয়েক দশক ধরেই আমাদের দলের অভ্যন্তরে আর নির্বাচন হয় না। আমাদের এই নির্বাচনের জন্যে আরও ১০-১৫ বছর আগে থেকেই দাবি জানানো উচিত ছিল। এখন জাতীয় রাজনীতিতে আমরা একের পর এক নির্বাচন হারছি। এই পরিস্থিতি থেকে আমাদের ফিরতে হলে দলের অভ্যন্তরে নির্বাচন প্রয়োজন।'
৫০ বছর ধরে বিরোধী আসনে বসবে কংগ্রেস
এরপর অভিমানের সুর ফুটে ওঠে তাঁর গলায়। গুলাম নবি বলেন, 'যদি আমার দল আগামী ৫০ বছর ধরে বিরোধী আসনে বসতে চায়, তাহলে অবশ্য এই নির্বাচন করার কোনও দরকার নেই। যেভাবে চলছে চলতে থাকুক।' এরপর তিনি অভিযোগ করেন, 'নির্বাচনের বিরোধিতা তাঁরাই করছেন, যাঁরা তাঁদের পদ নিযুক্তির মাধ্যমে পেয়েছেন। তাঁদের ভয় নির্বাচন হলে, তাঁরা তাঁদেরপদ বাঁচিয়ে রাখতে পারবেন না। বর্তমানে কংগ্রেসের এমন অবস্থা যে, কেউ একজন প্রদেশ সভাপতি হয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু হয়ত তাঁদের সঙ্গে এক শতাংশ সমর্থনও নেই।'
দলের অভ্যন্তরীণ পরিবর্তনের দাবি
প্রসঙ্গত, দলের অভ্যন্তরীণ পরিবর্তনের দাবি জানায় শীর্ষ নেতৃত্ব। ২৩ জন শীর্ষনেতা এই মর্মে সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখেছিলেন। পাশাপাশি তাঁরা ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের জন্যও আবেদন জানিয়েছিলেন। তাঁদের চিঠির উত্তরে সনিয়া গান্ধী জানিয়েছিলেন, বৈঠক হবে। সকলে মিলে নতুন সভাপতির খোঁজ করা হবে।
কাঁরা চিঠি পাঠিয়েছিলেন
যে চিঠিটি পাঠানো হয়েছে তাতে স্বাক্ষর রয়েছে কপিল সিব্বল, শশী থারুর, গুলাম নবি আজাদ, পৃথ্বীরাজ চৌহান, বিবেক তানখা এবং আনন্দ শর্মার মতো প্রবীণ নেতাদের। দাবি করা হয়েছে, রাহুল গান্ধী যদি দলের সভাপতি পদ গ্রহণে ইচ্ছুক না হন তবে দলের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে উপযুক্ত নেতা বেছে নেওয়া হোক৷ সংগঠনের শীর্ষনেতৃত্ব থেকে তৃণমূলস্তর,সব জায়গাতেই আমূল সংস্কারেরও দাবি তুলেছেন কংগ্রেসের ওই পোড়খাওয়া প্রবীণ নেতারাই৷
এখনও জ্বলছে বিদ্রোহের আগুন
এই নেতাদেরই ৯ জন ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের পর আজাদের বাড়িতে বৈঠকে বসেন। যেই ২৩ জন নেতা চিঠি লিখেছিলেন, তাঁদের বক্তব্য, তাঁরা শুধু চান দল যেভাবে ক্রমাগত নানা দিকে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে, তার সমাধানে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং দলে সংস্কারের জন্য যেন উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে গতকালের বৈঠকের পর সেই সনিয়ার হাতেই থাকল ক্ষমতার ছড়ি, আর তাতেই অসন্তোষ আরও বাড়তে শুরু করেছে দলের অন্দরে।
'১৯৬২ যুদ্ধের পর...', লাদাখ সংঘাতের মাঝে ভারত-চিন সম্পর্ক নিয়ে কী বললেন জয়শঙ্কর