কোনও অশুভ শক্তি মারেনি গৌরব তিওয়ারিকে, তবে কি আত্মহত্যার পিছনে দাম্পত্য কলহ?
নয়াদিল্লি, ১১ জুলাই : 'ইন্ডিয়ান প্যারানর্মাল স্যোসাইটি'-র প্রতিষ্ঠাতা তথা সিইও গৌরব তিওয়ারির মৃত্যুর রহস্য নিয়ে ইতিমধ্যে তোলপাড় দেশ, বিশেষ করে সোস্যাল মিডিয়া। গৌরবের মৃত্যুর পিছনে কি তবে কোনও অশুভ শক্তির হাত রয়েছে? এই নিয়ে তোলপাড় ফেসবুক-টুইটার। যদিও পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকরা সে পথে হাঁটছেন না। তদন্তকারীদের অনুমান, গৌরবের মৃত্যু নিয়ে তাঁর পরিবার কিছু তথ্য লুকিয়ে যাচ্ছেন।
পুলিশের তরফে মনে করা হচ্ছে ৩২ বছরের সদ্য বিবাহিত গৌরবের ও তার স্ত্রীর সম্পর্কে কিছু সমস্যা ছিল। যা তার পরিবার পুলিশের কাছে লুকিয়ে যেতে চাইছে। মৃত্যুর কয়েক ঘন্টা আগে কাজ থেকে ফেরার পর গৌরবের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর ঝগড়া হয়েছিল। যা তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে পুলিশ। তবে এবিষয়ে গৌরবের পরিবার পুলিশকে কোনও তথ্য দেয়নি। [ভূত বিশারদ গৌরব তিওয়ারির মৃত্যু, 'প্রেতাত্মার প্রভাব' দাবি বাবার]
গৌরবের মৃত্যু খবর প্রকাশ হওয়ার পর বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্টে বলা হচ্ছে, অসময়ের কাজ এবং বাড়ি যাতায়াতের সময় নিয়ে সোমবার বাবার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছিল গৌরবের। গৌরভ অশুভ শক্তি ভূত প্রেত নিয়ে কাজ করায় একটু অখুশিই ছিল তার পরিবার। কারণ রাত পর্যন্ত কাজ করত, অথচ আয় করত যৎসামান্যই।
প্রাথমিক ময়নাতদন্ত বলছে আত্মহত্যাই করেছে গৌরব। যেদিন দ্বারকার ফ্ল্যাটে জামা কাপড় রাখার রডে কাপড়ের ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন সেদিন তাঁর বাবা-মা, স্ত্রী সবাই বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন। তবে ঠিক কি কারণে গৌরব আত্মহত্যা করেছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।
গৌরবের বাবা উদয় তিওয়ারির অবশ্য দাবি ছিল, গৌরব মাসখানেকল আগে নিজের স্ত্রীকে জানিয়েছিল, কোনও এক 'অশুভ শক্তি' তাঁকে সেটির দিকে টেনে নিতে চাইছে। তাই তাঁর অনুমান কাজের চাপে অবসাদ থেকেই এই পথ বেছে নিয়েছে ছেলে।
যদিও পুলিশের অনুমান অবসাদের কোনও লক্ষ্মণ গৌরবের মধ্যে ছিল না। মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগে সে ইমেল চেক করেছিল। পত্রিকায় প্রকাশিত হবে বলে নিজের ফিচার নিয়ে ফেসবুকে পোস্টও করেছিলেন বিবকে। তাহলে আচমকা কেন বিবেক এমন সিদ্ধান্ত নিলেন, তা এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না তদন্তকারীরা।