পুলওয়ামা কাণ্ডে মাস্টার মাইন্ডের হদিশ! আদিলের 'প্রশিক্ষকে'র খোঁজ
দেশের শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থাগুলির অনুমান, জৈশ প্রধান মৌলনা মাসুদ আজহারের কাছের লোকবলে পরিচিত গাজি রশিদ দক্ষিণ কাশ্মীরে আশ্রয় নিয়ে রয়েছে।
পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদের কমান্ডার গাজি আবদুল রশিদই হল পুলওয়ামায় ৪০ সিআরপিএফ জওয়ান হত্যার মাস্টার মাইন্ড। ১৪ ফেব্রুয়ারির এই ঘটনা সারা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। দেশের শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থাগুলির অনুমান, জৈশ প্রধান মৌলনা মাসুদ আজহারের কাছের লোক বলে পরিচিত গাজি রশিদ দক্ষিণ কাশ্মীরে আশ্রয় নিয়ে রয়েছে।
গোয়েন্দা সংস্থাগুলির বিশ্বাস আইইডি এক্সপার্ট গাজি রশিদ আদিল আহমেদ দারকে ট্রেনিং দিয়েছিল। এই দারই ছিল ১৪ ফেব্রুয়ারির আত্মঘাতী জঙ্গি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, গত ডিসেম্বরের মধ্যবর্তী কোনও সময়ে কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ করে গাজি রশিদ। দুই ভাইপোর হত্যার জবাব দিতে মাসুদ আজহার তাঁকে ভারতে পাঠিয়েছে। তালাহ রশিদ এবং উসমান নামে মাসুদ আজহারের দুই আত্নীয় ২০১৭ ও ২০১৮ সালে দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মারা যায়। সেই পুলওয়ামাতেই আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছে ৪০ সিআরপিএফ জওয়ানের।
জৈশ-এর স্নাইপার হিসেবে পরিচিত ছিল মাসুদ আজহারের দ্বিতীয় ভাইপো উসমান। গতবছর পুলওয়ামার ত্রালে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মারা যাওয়ার পরেই কমান্ডার গাজি রশিদকে উপত্যকায় পাঠায় মাসুদ।
সূত্রের খব অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার জঙ্গি হামলার আগের দিনই গাজি রশিদ পুলওয়ামার রাত্নিপোরায় জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে বরাত জোড়ে বেঁচে যায়। সেই সংঘর্ষে স্থানীয় এক জঙ্গি মারা পড়ে। বাকি তিনজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এই সংঘর্ষে মারা যায় সেনা জওয়ান এইচভি বলজিত।
একনজরে
দেখে
নেওয়া
যাক,
কে
এই
গাজি
রশিদ
মাসুদ
আজহারের
কাছের
লোক
বলে
পরিচিত।
বিশ্বাসযোগ্য
কমান্ডার
গাজি
জঙ্গি
সংগঠন
জৈশ-এ
যোগ
দেয়
২০০৮
সালে।
৩২
বছয়
বয়সী
এই
জঙ্গিকে
ট্রেনিং
দিয়েছিল
তালিবানরা।
আফগানিস্তানে
ট্রেনিং
হয়েছিল।
পাকিস্তানের
উত্তর
ওয়াজিরিস্থানে
ফেরত
আসে
২০১০
সাল
নাগাদ।
পাক
অধিকৃত
কাশ্মীরে
জৈশ-এর
ট্রেনার
হিসেবে
যোগ
দেয়।