টুইটার, ফেসবুকে আসুন, মন্ত্রীদের নির্দেশ নরেন্দ্র মোদীর
গত দু'বছর ধরে টুইটারে রয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। আগে নিজস্ব টুইটার অ্যাকাউন্ট ছিল। এখন আবার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে আর একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এই দুই অ্যাকাউন্ট মিলিয়ে তাঁর 'ফলোয়ার' সংখ্যা অন্তত ৬০ লক্ষ। আর ফেসবুকে তাঁর 'পেজ লাইক' হল ১,৬৬,৬৬,৯৭০টি। সব ক্ষেত্রেই গুণমুগ্ধ হল মূলত তরুণ প্রজন্ম। ভোটের সময় যেভাবে এই দুই মাধ্যমকে ব্যবহার করে তিনি মানুষের কাছে পৌঁছেছেন, তাতে বোঝা গিয়েছে মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটার বা সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকের ক্ষমতা।
প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের এক কর্তা জানান, নরেন্দ্র মোদী নিজে মন্ত্রীদের ডেকে বলেছেন টুইটার আর ফেসবুকে আসতে। ভোটের প্রচারের মতো প্রশাসনিক ক্ষেত্রেও এই দুই মাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। সরকারের ঘোষিত নীতি, কতটা কাজ হচ্ছে তার পরিসংখ্যান ইত্যাদি বিস্তারিতভাবে যদি ফেসবুকে লেখা হয়, তা হলে একটা পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি তৈরি হবে। মন্ত্রীসভায় যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে সুষমা স্বরাজ, অরুণ জেটলি, নীতিন গড়করি প্রমুখ টুইটার আর ফেসবুকে রয়েছেন। বাকিরা নেই। এঁদের এ বার প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে হাই-টেক হতে হবে।
প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদী নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নিজেই চালান। নিজেই স্ট্যাটাস আপডেট দেন। কিন্তু টুইটারের ক্ষেত্রে আলাদা টিম রয়েছে। তাঁর ব্যক্তিগত টুইটার অ্যাকাউন্ট দেখভাল করেন হীরেন যোশি আর প্রধানমন্ত্রীর যে অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তা দেখভাল করেন পিএমও-র বিশেষ সেলের অফিসাররা।