For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

লাগামছাড়া করোনা বৃদ্ধির মাঝে মৃতের তথ্য গোপন সরকারের, এক নজরে গুজরাতের কোভিড চিত্র

এক নজরে গুজরাতের কোভিড চিত্র

Google Oneindia Bengali News

ক্রমেই মহারাষ্ট্রের সমকক্ষ হয়ে উঠছে গুজরাত। রাজ্য সরকারের কোভিড মৃত্যুর প্রকৃত তথ্য গোপন করার পাশাপাশি হাসপাতালগুলিতে বেড ও অক্সিজেনের ঘাটতি, দৈনিক সংক্রমণ সহ বিভিন্ন ঘটনা উদ্বেগ বাড়িয়ে চলেছে।

সরকার–হাসপাতালের তথ্যে অমিল

সরকার–হাসপাতালের তথ্যে অমিল

গত ১৩ এপ্রিল ৪৮ বছরের রূপল ঠাকুর, যিনি ২ বছরের এক সন্তানের মা, তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় ১৬ এপ্রিল রাতে তাঁকে শহরের এক নামী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ভর্তি হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি মারা যান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যদিও মৃত্যুর শংসাপত্রে মৃত্যুর কারণ হিসাবে হৃদরোগকে দায়ি করেছে। গুজরাতে এ ধরনের বহু ঘটনা ঘটছে, যেখানে কোভিড-১৯-এ মৃত রোগীর নাম হাসপাতালের তালিকায় নেই বরং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত্যুর প্রাথমিক কারণ হিসাবে করোনাকে না দেখিয়ে অন্য কোনও কারণ উল্লেখ করছে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, ১৬ এপ্রিল রাজ্যের স্বাস্থ্য বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা ৭৮। কিন্তু আহমেদাবাদ, সুরাত, রাজকোট, ভদোদরা, গান্ধীনগর, জামনগর ও ভাবনগর এই সাতটি শহরে ৬৮৯ টি দেহ পোড়ানো বা সমাধিস্থ করা হয়েছে কোভিড বিধি অনুসরণ করে।

মৃত্যু বাড়ছে রাজ্যে

মৃত্যু বাড়ছে রাজ্যে

হাসপাতালের মর্গের সূত্র অনুযায়ী, '‌আহমেদাবাদে, ১২০০ বেড যুক্ত কোভিড-১৯ হাসপাতালে ১৬ এপ্রিল মর্গ থেকে প্রায় ২০০টি দেহ বের করা হয়।'‌ একই রকম দৃশ্য সুরাতের ২টি প্রধান হাসপাতালেও। হাসপাতাল সূত্রের খবর, '‌প্রায় ১৯০টি দেহ শ্মশানের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়।'‌ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, '‌চলতি মাসের গোড়ার দিকে জামনগরের গুরু গোবন্দ সিং হাসপাতাল থেকে প্রতিদিন ২৪টি করে দেহ পাঠানো হত শ্মশানে।'‌ এই হসপাতালটি জামনগরের পাশাপাশি পোরবন্দর ও দ্বারকা জেলার মানুষদেরও পরিষেবা দেয়। রূপল ঠাকুরের মতো ৫৮ বছরের এক ব্যক্তি আহমেদাবাদের হাসপাতালে মারা যান, যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে কিডনি বিকল হওয়ার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এই ব্যক্তির পুত্র জানিয়েছেন যে তাঁর বাবা করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। দেশ তথা রাজ্যে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ওয়েভের মহামারি শুরু হয়ে গিয়েছে। গুজরাতে মৃতের সংখ্যা নিয়ে দু'‌ধরনের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। একটি স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে এবং অন্যটি হাসপাতাল ও শ্মশান-কবরস্থান থেকে। আর এখানেই ব্যাপকভাবে গরমিল দেখা দিয়েছে।

আইসিএমআরের নির্দেশ অনুসরণ

আইসিএমআরের নির্দেশ অনুসরণ

গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি জানিয়েছেন যে গুজরাত কোভিড-১৯ মৃত্যুর ক্ষেত্রে আইসিএমআরের নির্দেশ অনুসরণ করছে। সরকার রাজ্যের প্রত্যেক জেলায় মৃত্যু নিয়ে অডিট কমিটি তৈরি করেছে যাতে মৃত্যুর প্রাথমিক কারণ জানা যায়। ২০২০ সালে প্রথম ওয়েভের পর, রাজ্য সরকার একটি নির্দেশ জারি করে সমস্ত কোভিড-১৯ মৃত্যুর নিরীক্ষণের নির্দেশ দেয়। নির্দেশে বলা হয়, মৃত্যুর প্রাথমিক কারণ হিসাবে যদি করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয় তবে তা কোভিড-১৯-এ মৃত্যু বলে শ্রেণীবদ্ধ হবে। এছাড়াও ভাইরাল নিউমোনিয়াতে কেউ মারা গেলে সেক্ষেত্রেও সেই মৃত্যুকে করোনায় মৃত্যু বলে সরকারি তালিকা যোগ করা হবে। সরকারি এক আধিকারিক জানিয়েছেন যে কিন্তু এই রোগের মধ্যেই বহু সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে হৃদরোগে বা হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে, ব্রেইন স্ট্রোক ও একাধিক অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বিকলের ফলে, সেগুলিকে কোভিড মৃত্যু বলে গণ্য করা হবে না।

বেড ও অক্সিজেনের অভাব রাজ্যজুড়ে

বেড ও অক্সিজেনের অভাব রাজ্যজুড়ে

রাজ্যজুড়ে হাসপাতালগুলিতে বেডের অভাব দেখা দিয়েছে। যার ফলে রবিবার রাজকোটের হাসপাতালের বাইরে অ্যাম্বুলেন্স সারি দিয়ে দাঁড় করানোর চিত্র চোখে পড়ে। এর ঠিক কিছুদিন আগেই একই দৃশ্য চোখে পড়েছিল আহমেদাবাদের একটি হাসপাতালে, যেখানে কোভিড রোগী নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সের পর অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে রয়েছে। গত ২ সপ্তাহে রাজ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজ্যে মহামারি পরিস্থিতি নিয়ে এ মাসের গোড়ার দিকে শুনানি চলাকালীন গুজরাত হাইকোর্ট লক্ষ্য করে যে হাসপাতালের বাইরে ৪০টির বেশি অ্যাম্বুলেন্স লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। রাজ্যের আর এক প্রান্তে হাসপাতালে বেড না পেয়ে অ্যাম্বুলেন্সেই মারা যান এক কোভিড রোগী। বেড ও অক্সিজেনের অভাবে রাজ্যে অধিকাংশ মৃত্যু হচ্ছে বলে জানিয়েছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারি এক আধিকারিক।

কুম্ভ ফেরত ৪৯ জন করোনায় আক্রান্ত

কুম্ভ ফেরত ৪৯ জন করোনায় আক্রান্ত

গুজরাত থেকে কুম্ভ মেলায় যোগদানকারী ৪৯ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে গত ২দিনে। এঁরা সম্প্রতি কুম্ভ মেলা থেকে গুজরাতে ফিরেছেন। শনি ও রবিবার কুম্ভ মেলা থেকে মোট ৫৩৩ জন সবরমতী রেল স্টেশনে ফেরেন এবং তাঁদের করোনা টেস্ট হয়। সেখানেই অ্যান্টিজেন টেস্টে ৪৯ জনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। এঁদের প্রত্যককে কোভিড কেয়ার সেন্টারে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

 আক্রান্ত অধিকাংশ গর্ভবতী মহিলা

আক্রান্ত অধিকাংশ গর্ভবতী মহিলা

গুজরাতে যুবক ও বয়স্ক, পুরুষ-মহিলার পাশাপাশি অধিকাংশ গর্ভবতী মহিলারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র একাধিক গর্ভবতীরা নন, বরং অধিকাংশ মহিলা করোনায় আক্রান্ত হয়ে আইসিইউতে রয়েছেন। এসভিপি হাসপাতালের চিকিৎসক মোনিলা প্যাটেল জানান যে প্রথমে গর্ভবতী মহিলাদের উপসর্গ হাল্কা হলেও পরে তা জটিল অবস্থায় পরিণত হয়। তিনি বলেন, '‌প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম যে অন্তঃসত্ত্বাদের করোনা ছুঁতে পারে না, কিন্তু আমরা বুল ছিলাম।'‌ এসভিপি হাসপাতাল ৭০০টি কোভিড-পজিটিভ মায়েদের প্রসব পরিচালনা করেছে এবং একজনের মৃত।উ হয়েছে। তবে বর্তমান ওয়েভে আরও বেসি সংখ্যায় প্রাণহানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সম্প্রতি সরকারি আধিকারিক শ্বেতা মেহতা সাহুর মৃত্যু হয়, যিনি ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। চিকিৎসকরা তাঁর কন্যা সন্তানকে প্রসব করে ৩৫ বছরের শ্বেতা ও তাঁর সন্তানকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও একদিন পরই উভয়ের মৃত্যু হয়। এই হাসপাতালের স্ত্রী রোগ বিভাগের প্রধান ডাঃ সুষমা শাহ বলেন, '‌বর্তমানে, আমরা তিনজন করোনায় আক্রান্ত গর্ভবতী মহিলাকে ভেন্টিলেটরে রেখেছি, এঁদের মধ্যে একজনের গর্ভে যমজ সন্তান রয়েছে।'‌ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে যদি পরিস্থিতি জটিল হয় তবে তাঁরা মায়ের জীবন বাঁচাতে সন্তানের প্রসব করে বা আইনতভাবে গর্ভপাত করতে বাধ্য হবেন।

করোনার জেরে ভেঙে পড়ার মুখে দিল্লির স্বাস্থ্য পরিষেবা, ছয়দিনের লকডাউনের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের করোনার জেরে ভেঙে পড়ার মুখে দিল্লির স্বাস্থ্য পরিষেবা, ছয়দিনের লকডাউনের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের

English summary
Find out at a glance how the coronavirus situation is in Gujarat
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X