কালবুর্গি থেকে গৌরী, সকলেরই প্রাণ কাড়ল এই বিশেষ পিস্তল
যেভাবে এম এম কালবুর্গি, নরেন্দ্র দোভালকর ও গোবিন্দ পানসারেকে খুন করা হয়েছিল, ঠিক একই কায়দায় খুন হলেন গৌরী লঙ্কেশও, যদিও এখনও পর্যন্ত হত্যার উদ্দেশ্য স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে।
হত্যার ধরন একেবারে হুবহু এক। যেভাবে এম এম কালবুর্গি, নরেন্দ্র দোভালকর ও গোবিন্দ পানসারেকে খুন করা হয়েছিল, ঠিক একই কায়দায় খুন হলেন গৌরী লঙ্কেশও। যদিও এখনও পর্যন্ত হত্যার উদ্দেশ্য স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। হত্যার ধরনের মত আততায়ীরাও একই কিনা তা নিয়েও নিশ্চিত নয় পুলিশ। আগের তিনটি হত্যামামলারও আজ পর্যন্ত কোনও কিনারা হয়নি। সবকটি হত্যাতেই একই অস্ত্র ব্যবহার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: সুপারি কিলারের হাতে খুন সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ! সিসিটিভি ফুটেজ এল পুলিশের হাতে]
কালবুর্গি, দাভোলকর ও পানসারের মতই বাইকে করে এসে গৌরী লঙ্কেশের মাথায় ও বুকে পরপর গুলি করা হয়। এই ঘটনাগুলির মধ্যে প্রথমেই মিল খুঁজে পান কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রামালিঙ্গা রেড্ডি ও ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহ। পরে অবশ্য পুলিশের পক্ষ থেকেও এই কথা জানানো হয়। ২০১৫ সালের অগাস্ট মাসে এম এম কালবুর্গিকে হত্যার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল ৭.৬৫ এমএম পিস্তল। তদন্তে নেমে সিআইডি জানতে পারে একই আগ্নেয়াস্ত্র দিয়েই দাভোলকর ও পানসারেকেও খুন করা হয়।
তবে আগের তিনজনের মতই গৌরী লঙ্কেশের খুনের কারণ নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, গৌরী লঙ্কেশ এমন কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন না, ঠিক যেমনটা ছিলেন না দাভোলকর, কালবুর্গি বা পানসারে। তাঁদের কারওরই একটা সরকার উল্টে দেওয়ার মত ক্ষমতা ছিল না। তা সত্ত্বেও কেন এই ধরনের মুক্তমনা সাংবাদিকদের শিকার হতে হচ্ছে তা নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাওয়া হবে বলেই পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এর আগে দাভোলকর ও পানসারের খুনের মামলায় বম্বে হাইকোর্ট জানিয়েছিল, এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। একেবারেই পরিকল্পনা করে এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। কোনও সংগঠন এই হত্যাকারীদের মদত যোগাচ্ছে বলেও জানিয়েছিল আদালত।