সীমা অতিক্রম করেছে অসমের নিম্ন আদালত, পুলিশের সমালোচনা নিয়ে হাইকোর্টের ভর্ৎসনা
গুজরাটের বিধায়ক জিগনেশ মেভানি একজন মহিলা পুলিশ অফিসারকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁকে জামিন দিয়েছে বারপেটা আদালত।
গুজরাটের বিধায়ক জিগনেশ মেভানি একজন মহিলা পুলিশ অফিসারকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁকে জামিন দিয়েছে বারপেটা আদালত। গুয়াহাটি হাইকোর্ট সোমবার জানিয়েছে, নিম্ন আদালতের পর্যবেক্ষণগুলি সীমা অতিক্রম করেছে। একই সঙ্গে পুলিশ বাহিনী এবং অসম সরকারকে নিরাশ করেছে এই রায়।
অসমের বারপেটা জেলা ও দায়রা জজ অপরেশ চক্রবর্তীর করা পর্যবেক্ষণকে চ্যালেঞ্জ করে অসম সরকারের দায়ের করা একটি পিটিশনের শুনানি করেন বিচারপতি দেবাশিস বড়ুয়। বিচারপতি দেবাশিস বড়ুয়া গুজরাটের বিধাক কংগ্রেস নেতা মেভানিকে জামিন দেওয়ার বিষয়ে কোনও মতামত না দিলেও নিম্ন আদালতের কড়া সমালোচনা করেন।
মেভানি একজন দলিত নেতা এবং একজন নির্দল বিধায়ক। বর্তমানে তিনি কংগ্রেস পার্টি করেন। বারপেটা আদালত জিগনেশ মেভানির বিরুদ্ধে মিথ্যা এফআইআর দায়ের করার জন্য রাজ্য পুলিশকে ভর্ৎসনা করেছিল। এবং উচ্চ আদালতকে বর্তমান মামলার মতো মিথ্যা এফআইআর নিবন্ধন এবং কর্মীদের উপর গুলি চালানো এবং হত্যা বা আহত করার জন্য অসম পুলিশকে নির্দেশ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করেছিল। রাজ্যে তা একটি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও অভিযোগ করেছিল।
এ প্রসঙ্গে গুয়াহাটি হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাশিস বড়ুয়া বলেন, এই ধরনের পর্যবেক্ষণগুলো নিম্ন আদালতের এক্তিয়ারের বাইরে। এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করেছে নিম্ন আদালত। সোমবার ছুটির কারণে আদালত বন্ধ থাকায় জেলা আদালতের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য অ্যাডভোকেট জেনারেল দেবজিৎ সাইকিয়া বিশেষ অনুমতি নেন।
হাইকোর্ট জানিয়েছে, আগামী ২৭ মে বিষয়টি আবার শুনানির জন্য উঠবে। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে তার টুইটের জন্য কোকরাঝারে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত হওয়ার পরে বিধায়ক জিগনেশ মেভানিকে গত ১৯ এপ্রিল গুজরাটের পালানপুর শহর থেকে অসম পুলিশ প্রথমে গ্রেফতার করে। তারপর ২৫ এপ্রিল কোকরাঝার আদালত তাঁকে মামলায় জামিন দেয়।
এরপর চার দিন আগে গুয়াহাটি থেকে কোকরাঝারে তাঁকে পুলিশ নিয়ে আসে। সেই সময় মহিলা পুলিশ অফিসারকে তিনি লাঞ্ছিত করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগে তাঁকে পুনরায় গ্রেফতার দেখানো হয়। এই ঘটনার অভিযোগে বারপেটা রোড থানায় দায়ের করা হয় এফআইআর। তাঁকে বারপেটা আদালতে পেশ করা হয়। বারপেটা আদালত সোজাসাপ্টা জানিয়ে দেয়, মিথ্যা অভিযোগে গুজরাটের বিধায়ককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই মামলায় বিধায়ত জিগনেশ মেভানিকে এক হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেওয়া হয়। তাঁর জামিন মঞ্জুর করে আদালত।