বাড়ি ফেরার ট্রেন ধরতে ফের মুম্বই স্টেশনে ভিড় শ্রমিকদের, জারি উদ্ধবের সঙ্গে কেন্দ্রের তরজা
বাড়ি ফেরার জন্য ট্রেন ধরতে ফের মুম্বই স্টেশনে ভিড় শ্রমিকদের। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত শ্রমিকরা স্টেশনেই ভিড় করে দাঁড়িয়েছিলেন। যদিও তাঁদের বেশিরভাগেরই নাম যাত্রীর তালিকায় নথিভুক্ত না থাকায় স্পেশাল ট্রেন ধরতে পারেননি। অনেকের মতে, মুম্বই স্টেশনে শ্রমিকদের ভিড় করা এখন প্রতিদিনের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গত সপ্তাহেও বান্দ্রায় ভিড় করতে দেখা গিয়েছিল শ্রমিকদের
গত সপ্তাহে মঙ্গলবারও বিহার ফিরে যাওয়ার জন্য মুম্বইয়ের বান্দ্রা টার্মিনাসের বাইরে ভিড় করতে দেখা গিয়েছিল শ্রমিকদের। সেখানেই বহুক্ষণ অপেক্ষা করেন তাঁরা। পরে পুলিশ এসে যাঁদের নাম নথিভুক্ত রয়েছে তাঁদের ট্রেনে তুলে দেয়। আর বাকিদের ফেরত পাঠায়।
নাম নথিভুক্তর দায়িত্বে মুম্বই পুলিশ
এই স্পেশাল ট্রেনে নাম নথিভুক্তর দায়িত্ব মুম্বই পুলিশের উপর রয়েছে। কিন্তু তারপরেও স্টেশনে মানুষের এই জমায়েতের জন্য কেন্দ্রকেই দায়ি করছে রাজ্য সরকার। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেও দাবি করেন, মুম্বইয়ে আটকে থাকা শ্রমিকদের জন্য অর্ধেক সংখ্যক ট্রেন দিচ্ছে কেন্দ্র।
পরিযায়ীদের নিয়ে উদ্ধব-কেন্দ্র তরজা
উদ্ধবের এই দাবিকে কেন্দ্র করেই গতকাল মহরাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিকও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। বলেন, 'শেষ দু'দিন ধরে রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল রাজনীতি করছেন। তিনি লোকমান্য তিলক স্টেশন থেকে শ্রমিকদের জন্য ৪৯টি ট্রেন বরাদ্দ করেছেন। কিন্তু ডিভিশন রেলওয়ে ম্যানেজার বলছেন তাঁরা ১৬ টার বেশি ট্রেন চালাতে পারবে না। অথচ ততক্ষণে ৪৯ টি ট্রেনের জন্য স্টেশনে যাত্রীরা অপেক্ষা করছেন। আমার মনে হয়, উনি ইচ্ছে করে রাজনীতি করছেন।"
উদ্ধবের উদ্দেশে রেলমন্ত্রীর টুইট
বেশ কয়েকটি টুইটের মাধ্যমে পীযূষ গোয়েল উদ্ধব ঠাকরের অভিযোগের পালটা দেন। জানান, যদি এক ঘণ্টার মধ্যে শ্রী ঠাকরের কাছ থেকে ট্রেন, যাত্রী ও গন্তব্যের তালিকা পাওয়া যায় তাহলে তাঁর মন্ত্রক সারারাত কাজ করে সমস্যার সমাধান করবেন। গতকাল রেলমন্ত্রী ফের মহারাষ্ট্র সরকারকে আক্রমণ করেন। জানান, ১৪৫টি ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু যাত্রীর অভাবে দুপুর ৩টে পর্যন্ত মাত্র ১৩টি ট্রেন চালাতে পারে রেল।
ভিনরাজ্যের শ্রমিকরা বাড়ি ফিরতে উদগ্রীব
গত দু'মাস ধরে মুম্বইয়ে আটকে ভিনরাজ্যের শ্রমিকরা বাড়ি ফিরতে উদগ্রীব হয়ে উঠেছেন। হাজার হাজার শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। কেউ আবার বাস, লরি বা হেঁটেই বাড়ির পথে রওনা দিয়েছেন।
ভারতীয় ভূঘণ্ডে ঢুকে এল চিন-এর সেনা! লাদাখের একাধিক জায়গায় সংঘর্ষ