নেই অ্যাম্বুলেন্স, ছত্তিশগড়ে জঞ্জাল তোলার গাড়িতে করে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কোভিড রোগীদের
জঞ্জাল তোলার গাড়িতে করে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কোভিড রোগীদের
দেশজুড়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে, আর তার সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুও। দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত সহ বেশ কিছু রাজ্যে দেখা গিয়েছে শ্মশানে কোভিড দেহের ভিড়। এরই মধ্যে অমানবিক দৃশ্য দেখা গেল ছত্তিশগড়ের রাজনন্দগাঁওতে। জঞ্জাল তোলার গাড়ি ব্যবহৃত হচ্ছে কোভিড–১৯ রোগীদের মৃতদেহ বহনের কাজে।
ভয়াবহ
এই
ভিডিওতে
দেখা
গিয়েছে,
চারজন
স্যানিটাইজার
কর্মী,
পিপিই
কিট
পরে,
কোভিড
রোগীদের
মৃতদেহ
জঞ্জাল
গাড়ির
ভেতরে
স্তুপীকৃত
করছেন
শ্মশানঘাটে
শেষকৃত্য
করার
জন্য
নিয়ে
যাবে
বলে।
এই
ঘটনা
নিয়ে
প্রশ্ন
করলে
মুখ্য
মেডিক্যাল
স্বাস্থ্য
অফিসার
বলেন,
'গাড়ির
বন্দোবস্ত
করার
দায়িত্ব
নগর
পঞ্চায়েতের
ও
সিএমওর।’
করোনা
কেসগুলির
সঙ্গে
মোকাবিলা
করতে
ও
বেডের
ঘাটতির
জন্য
রাজনন্দগাঁওয়ের
প্রেস
ক্লাব
চত্ত্বরটিকে
কোভিড
কেন্দ্রে
পরিণত
করে
দেওয়া
হয়েছে।
যেখানে
উপসর্গ
নেই
এমন
রোগীদের
চিকিৎসা
চলছে
বিনামূল্যে।
প্রেস
ক্লাবের
সদস্যরা
রোগীদের
জন্য
৩০টি
বেডের
বন্দোবস্ত
করেছে,
যাঁরা
উপসর্গহীন
কিন্তু
মেডিক্যাল
সহায়তা
প্রয়োজন।
ক্লাবের
ডিরেক্টর
অজয়
সোনি
জানিয়েছেন
যে
মেডিক্যাল
টিমের
কর্মীরা
সবসময়
এখানে
রয়েছেন
রোগীদের
সেবা
করার
জন্য।
দেশের দশটি কোভিড ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যের মধ্যে ছত্তিশগড় একটি, যেখানে করোনা কেস ও মৃত্যুর বৃদ্ধির জন্য রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো বেশ চাপে রয়েছে। রাজ্যের রাজধানী রায়পুরের প্রধান সরকারি হাসপাতালে মৃতের সংখ্যা ক্রমশঃ বাড়ছে। আইসিইইউ ও অক্সিজেন যুক্ত বেড একশো শতাংশ দখল, যার ফলে নতুন করে রোগীদের ভর্তি নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সম্প্রতি একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে যে করোনা রোগীদের মৃতদেহ মর্গে রাখার জায়গা নেই, তার বদলে যেখানে জায়গা পাওয়া যাচ্ছে সেখানেই রেখে দিচ্ছে হাসপাতালের কর্মীরা।
বুধবার ছত্তিশগড়ে ১৪,২৫০টি নতুন কোভিড–১৯ কেস ও ১২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ রাজ্যে মোট সংক্রমণের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪,৮৬,২৪৪ এবং মৃতের সংখ্যা ৫,৩০৭ জন। গত একমাসের মধ্যে এ রাজ্যে করোনা রোগীর সংখ্যা ১.৬৮ লক্ষ হয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ১,৪১৭ জনের।
বঙ্গে বাড়ছে করোনা, ফের রেল পরিষেবায় কোপ, বাতিল হল হাওড়া ডিভিশনের ১৬টি লোকাল ট্রেন