তদন্ত কমিটির এক্তিয়ার ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়ের
চিঠিতে অশোকবাবু যুক্তি, একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির বিরুদ্ধে কোনওরকম ব্যবস্থা নেওয়ার কোনও এক্তিয়ার যে আদালতের নেই, তা সুপ্রিম কোর্ট নিজেই বলেছে৷ অথচ এই বিষয়ে কমিটি গড়ে তদন্ত করে রিপোর্টও প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিশোধস্পৃহা থেকেই এ ভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে আমাকে: অশোক গঙ্গোপাধ্যায়
এমনকী কমিটির রিপোর্টে ইন্টার্নের লিখিত ও মৌখিক দুধরণের বয়ানেরই উল্লেখ রয়েছে। যদিও তিনি যে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তা নিয়ে কোনও কিছু স্পষ্ট করে বলা নেই বলেও অভিযোগ অশোকবাবুর। তাঁর বক্তব্য এই কমিটির কোনও যৌক্তিকতাই নেই।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে লেখা চিঠিতে অশোককুমার গঙ্গোপাধ্যায় লিখেছেন, ইন্টার্নের বয়ানের প্রতিলিপি দিতে আমাকে অস্বীকার করা হয় গোপনীয়তা বজায় রাখার স্বার্থে৷ অথচ সেই বয়ানেরই একটা বড় অংশ একটি নামি গোষ্ঠীর বাংলা সংবাদপত্রে কয়েকদিনের মাথায় প্রকাশিত হয়। তাহলে গোপনীয়তা বজায় হল কই? কার অনুমতি নিয়ে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল অভিযোগকারিনীর হলফনামার অঁশ প্রকাশ করেছিলেন অশোকবাবু প্রশ্ন তুলেছেন তা নিয়েও।
আট পাতার চিঠিতে ৬টি অনুচ্ছেদে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এক একটি অভিযোগ খণ্ডন করেছেন, এবং আরও বেশ কিছু অভিযোগ তুলেছেন অশোকবাবু। তাঁর দাবি, বিচারপতি থাকাকালীন কর্তব্যের খাতিরেই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলায় রায় দিতে হয়েছে তাঁকে, যা বহু ক্ষেত্রেই শাসকদের বিপক্ষে গিয়েছে। তাই প্রতিশোধস্পৃহা থেকেই তাঁকে এ ভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি অশোকবাবুর। প্রসঙ্গত, টুজি কেলেঙ্কারির একাধিক মামলায় বেঞ্চে ছিলেন তিনি। ১২২টি স্পেকট্রাম লাইসেন্স বাতিল করা-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রায়ও দিয়েছেন তিনি৷ এই ঘটনার মাধ্য়মে তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করার চক্রান্ত সেই কারণেই কি না তা নিয়েও পরোক্ষভাবে প্রশ্ন তুলেছেন অশোক গঙ্গোপাধ্য়ায়।