গণধর্ষণের পর ভিডিও ফাঁস করার হুমকি দুর্বৃত্তদের, পুলিশ বলল 'ভোটের কাজে ব্যস্ত আছি'
রাজস্থানের আলওয়ার জেলায় এক মহিলাকে পাঁচজন মিলে গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ।
নির্বাচন আগে না জীবন? অবশ্যই নির্বাচন। লোকসভা ভোট বলে কথা। দেশের ভবিষ্যৎ ঠিক করতে সারা দেশে মানুষ ভোট দিচ্ছে। তা কম কথা নাকি! তবে এই মহৎ কর্মযজ্ঞের মাঝেই নেহাত এক নিরীহ মহিলার মান-ইজ্জত ভুলুন্ঠিত। তিন ঘণ্টা ধরে গণধর্ষণের পর রাষ্ট্রযন্ত্র ফের একবার তার ইজ্জত লুটে নিল যেন। নিগৃহীত হয়ে পুলিশে অভিযোগ জানাতে গিয়ে পরিবার শুনল, ভোটের কাজে ব্যস্ত আছে প্রশাসন। ভোট মিটলে তখন দেখা যাবে। অর্থাৎ ভোট না মেটা পর্যন্ত কিছু করা যাবে না। তার মধ্যে ঘটে যাওয়া সবকিছু তুচ্ছ। মানুষের জীবন, সম্মান- সবকিছু।
আশ্চর্য মনে হলেও এমন ঘটনাই ঘটল রাজস্থানের আলওয়ার জেলায়। এক মহিলাকে পাঁচজন মিলে গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ। স্বামীর সামনেই তিন ঘণ্টা ধরে মহিলাকে নির্যাতন করা হয়। গত ২৬ এপ্রিল ঘটনাটি ঘটলেও ৬ মে রাজস্থানে ভোট মিটে যাওয়ার আগে তা সামনে আসেনি।
ঘটনার পর নিগৃহীত মহিলার স্বামী রাজস্থান পুলিশ সম্পর্কে যা বলেছেন তা আরও বেদনাদায়ক। তিনি জানিয়েছেন, ঘটনার পর ভয়ে তাঁরা চুপ ছিলেন। তবে অভিযুক্তদের একজন পরে ফোন করে টাকা চায়। অন্যথায় ভিডিও ফাঁস করার হুমকি দেয়। তারপরই পুলিশের দ্বারস্থ হন দম্পতি।
আলওয়ারের পুলিশ সুপার রাজীব পাচরের কাছে যান তাঁরা। অভিযোগ, তিনি সাদা কাগজে অভিযোগ নেন। তবে এফআইআর নেওয়া হয়নি। নিগৃহীতার স্বামী জানিয়েছেন, এরপরে স্টেশন হাউস অফিসার তাঁদের ঘটনাস্থলে নিয়ে যান। কয়েকদিন পর তাঁরা জানতে পারেন, কিছুই করা হয়নি। পরে এসপি-র কাছে গেলে তিনি বলেন, ভোট শেষ হওয়া অবধি অপেক্ষা করতে।
পরের দিন স্টেশন হাউস অফিসারকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, পুলিশ ভোটের কাজে ব্যস্ত। এসপি-ও একই কথা বলেন। এর মাঝে ২ মে এফআইআর হয়। তবে কাজের কাজ কিছু হয়নি। তবে ঘটনা জানাজানির পরে সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে। দুই পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।