হিমালয়ের হিমবাহ গলছে দ্রুত! প্রতিবছরে উদ্বেগজনক ভাবে পিছিয়ে যাচ্ছে গঙ্গোত্রী
বিশ্ব জুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের (Climate change) প্রভাব। প্রশান্ত মহাসাগর, ভারত মহাসাগরে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঘূর্ণিঝড় (cyclone) বৃদ্ধির ব্যাপারে সতর্ক করেছেন আবহবিদরা। সঙ্গে হিমাবাহ (glacier) গলে যাওয়ার কথাও সবার
বিশ্ব জুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের (Climate change) প্রভাব। প্রশান্ত মহাসাগর, ভারত মহাসাগরে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঘূর্ণিঝড় (cyclone) বৃদ্ধির ব্যাপারে সতর্ক করেছেন আবহবিদরা। সঙ্গে হিমাবাহ (glacier) গলে যাওয়ার কথাও সবার সামনে এসেছিল। তবে এবার যে তথ্য সামনে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে হিমালয়ের (himalaya) বেশিরভাগ হিমবাহই গলে যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে গঙ্গোত্রী (gangotri)-সহ দেশের নটি বড় হিমবাহ।
একাধিক সংস্থার গবেষণা
জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া, ওয়াদিয়া ইনস্টিটিউট অফ হিমালয়ান জিওলজি, ন্যাশনাল সেন্টার ফর পোলার অ্যান্ড ওশান রিসার্চ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হাইড্রোলজি, স্পেশ অ্যাল্পিকেশন সেন্টার এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের হিমালয়ের হিমবাহ নিয়ে গবেষণা চালিয়েছে। সেখানেই উঠে এসেছে ভারতের বেশিরভাগ হিমবাহ দ্রুত গলে যাচ্ছে।
সংসদেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা
হিমবাহের গলে যাওয়ার বিষয়টি সংসদের আলোচনায় উঠে এসেছে। সেখানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেছেন, জিএসআই-এর তরফ থেকে দেশের নটি হিমবাহের ভারসাম্যের মূল্যায়ন করা হয়েছে। হিমবাহ গলে যাওয়ার বিষয়টি নিয়েও গবেষণা করেছে জিএসআই। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছেন ৭৬ টি হিমবাহ পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। সেখানেই দেখা গিয়েছে বেশিরভাগ হিমবাহই গলছে কিংবা পিছনে সরে যাচ্ছে। তিনি বলেছেন, হিমবাহ যে গলে যাচ্ছে সেটি একটি প্রাকৃতিক ঘটনা। যা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।
হিমবাহ পিছনে সরছে
ভূবিজ্ঞান
মন্ত্রকের
তরফে
বলা
হয়েছে,
হিন্দুকুশ
হিমালয়ে
প্রতিবছর
হিমালয়
১৪.৯
থেকে
১৫.১
মিটার
করে
পিছনে
সরে
যাচ্ছে।
সিন্ধুতে
১২.৭
থেকে
১৩.২,
গঙ্গায়
১৫.৫
থেকে
১৪.৪
মিটার
এবং
ব্রহ্মপুত্র
নদের
অববাহিকায়
২০.২
থেকে
১৯.৭
মিটার
পিছনে
সরছে।
এছাড়াও
পর্যবেক্ষণে
দেখা
গিয়েছে
ভাগীরথী
অববাহিকার
ডোকরিয়ানি
হিমবাহ
১৯৯৫
সাল
থেকে
প্রতিবছর
১৫-২০
মিটার
পিছিয়ে
যাচ্ছে।স
মন্দাকিনী
অববাহিকার
চোরাবাড়ি
হিমবাগ
প্রতি
বছরে
৯-১১
মিটার
করে
সরছে।
শতদ্রু
অববাহিকাও
একই
ঘটনার
সাক্ষী।
তবে
আইএসসি
ব্যাঙ্গালোরের
তরফে
গবেষণায়
বলা
হয়েছে
শতাব্দীর
মাঝামাঝি
পর্যন্ত
হিমবাহ
গলার
পরিমাণ
বাড়বে।
তারপরে
হ্রাস
পাবে।
নদীগুলির জল সরবরাহে ব্যাপক প্রভাব
সাধারণ
মানুষ
বর্তমান
সময়ে
হিমবাহ
গলে
যাওয়ার
প্রভাব
সেরকম
ভাবে
না
বুঝলেও
পরবর্তী
সময়ে
এই
বিষয়টি
হিমবাগ
থেকে
উৎপন্ন
নদীর
জল
সরবরাহে
ব্যাপকভাবে
প্রভাব
ফেলবে।
বিষয়টি
নদী
অববাহিকায়
থাকা
জলবিদ্যুৎ
কেন্দ্রগুলির
ওপরে
যেমন
প্রভাব
ফেলবে,
এর
থেকে
আকষ্মিক
বন্যাও
হবে।
এই
বিষয়গুলি
অবশ্য
পাহাড়ে
থাকা
মানুষজনের
কাছে
পরিচিত।
সরকারি
তরফে
বিষয়টির
পর্যবেক্ষণে
দেখা
গিয়েছে,
হিমবাহ
গলে
যাওয়ার
হ্রদের
সংখ্যা
বাড়ছে
কিংবা
যেগুলি
রয়েছে
তার
আয়তন
বৃদ্ধি
পাচ্ছে।
এছাড়াও
আকষ্মিক
বন্যার
কারণে
পাহাড়ের
ঢালে
চাষের
ওপরে
প্রভাব
পড়ছে।
কর্ম নিশ্চয়তা প্রকল্পে প্রথম! কেন্দ্রীয় প্রকল্পে ফের দেশের সেরা মমতার বাংলা