বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে গঙ্গা-কোশী নদী, ১৬টি জেলা বিপর্যস্ত
ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বিহারে। প্রবল বর্ষণে রাজ্যের সবচেয়ে বড় দুটি নদী গঙ্গা এবং কোশী নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে। রাজধানী পাটনা সহ বিহারের ১৬টি জেলার জনজীবন এখন
ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বিহারে। প্রবল বর্ষণে রাজ্যের সবচেয়ে বড় দুটি নদী গঙ্গা এবং কোশী নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে। রাজধানী পাটনা সহ বিহারের ১৬টি জেলার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এখনও পর্যন্ত ৪০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সোমবার রাজ্যের ১৬টি জেলায় বন্যা ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে দফায় দফায় বৈঠকে বসছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কমিটি।
কেন্দ্রীয় জল কমিশনের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, গঙ্গা, কোশী, মহানন্দা এবং পুনপুন নদীর জল বিপদসীমার উপর দিেয় বইতে শুরু করেছে বিহারে। মুঙ্গের, ভাগলপুর, পাটনা শহরে গঙ্গা বিপদসীমার উপর দিেয় বইছে। সেই কারণেই পাটনা শহরের অধিকাংশ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। রাস্তায় বোট নামিয়ে উদ্ধার কাজ করছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। গতকাল বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী এবং তাঁর পরিবারকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে বিহারের কাঠিয়ার ও কুরশেলা জেলায় কোশী নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে।
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ২১টি দল উদ্ধার কাজ করছে বিহারের বিভিন্ন জেলায়। শুধু মাত্রা পাটনােতই উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে ৬টি দল। পাটনার বন্যা দুর্গত এলাকার বাসিন্দাদের কাছে খাবার পৌঁছে েদওয়ার জন্য কাজ করছে বায়ুসেনার দুটি হেলিকপ্টার। একাধিক জায়গায় পাম্প বসিয়ে দল নামানোর কাজ করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত পাটনা শহরের বিভিন্ন জায়গায় পাম্পের সাহায্য ৩০০০ গ্যালন জল বের করা হয়েছে।
এদিকে পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিতে গতকালই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেন্দ্রীয় সরকার সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।