Gandhi Jayanti 2019: গান্ধীজির শেষ জন্মদিনে কোন ঘটনার সাক্ষী ছিলেন বল্লভভাই প্যাটেলের কন্যা!
রাত পোহালেই দেশে জুড়ে পালিত হবে মহাত্মা গান্ধীর জন্মজয়ন্তী। দেশের অহিংস আন্দোলনের পথিকৃত তথা ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতা জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত হতে চলেছে একাধিক
রাত পোহালেই দেশে জুড়ে পালিত হবে মহাত্মা গান্ধীর জন্মজয়ন্তী। দেশের অহিংস আন্দোলনের পথিকৃত তথা ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতা জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত হতে চলেছে একাধিক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। তবে এই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের নেপথ্যে রয়েছে গিয়েছে গান্ধীজির শেষবারের জন্মদিনের এক সাদাকালো ইতিহাস। যে ঘটনা গান্ধীজির ৭৮ তম জন্মজয়ন্তীতে সেবার অনেককেই মর্মাহত করেছিল।
বল্লভভাইয়ের কন্যা মীরাবেনের চোখে গান্ধী জয়ন্তী
ঘটনা ১৯৪৭ সালের ২ রা অগাস্টের। সেই সময় সবেমাত্র স্বাধীনতা পেয়েছে দেশ। তবে স্বাধীনতার আনন্দের সঙ্গেই মিশেছিল দাঙ্গার আগুন ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা। বাংলাদেশ থেকেরাঞ্জাব সীমান্তে দেশভাগ নিয়ে তখনও ইতিউতি হিংসার আগুন জ্বলছে। যা নিয়ে সেই সময় মর্মাহত ছিলেন দেশের অহিংস আন্দোলনের পথিকৃত 'বাপু'। এমনই ঘটনার কথা স্মরণ করেছিলেন সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের কন্যা মীরাবেন।
কী ঘটেছিল সেই দিন
১৯৪৮ সালে মৃত্যু হয়েছিল জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর। ঠিক তার আগের বছর যখন তাঁর অনুরাগীরা গান্ধীজির ৭৮ তম জন্মজয়ন্তী পালনে দিল্লিতে ঘনশ্যাম বি়ড়লার বাসভবনে পৌঁছন, তখন দেখা যায় গান্ধীজি শোকস্তব্ধ মনে বসে রয়েছেন। মীরাবেন জানান, সেই দিন তিনি নিজে ফুল দিয়ে গান্ধীজির জন্য লিখেছিলেন 'হে রাম' ও 'ওম' শব্দগুলি। গাওয়া হয়েছিল ' হে গোবিন্দ রাখো স্মরণ' গানটি।
অগ্নিগর্ভ ভারতে জন্মদিনের খুশি পালন করতে চাননি মহাত্মা?
মীরাবেনের স্মৃতিচারণা থেকে উঠে আসে , সেই দিন গান্ধীজি সকলের সামনেই জানিয়েছিলেন যে, এমন অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে তাঁর জন্মদিন পালন হোক , তা তিনি চাইছেন না। তিনি অনুরাগীদের জানিয়েছিলেন, এমন অশান্ত , হিংসাচ্ছন্ন পরিবেশে আর একটিও জন্মদিন পালন করতে চাননি মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী।
গান্ধী জয়ন্তী: বিশ্বের 'বৃহত্তম প্লাস্টিক চরকা' পেতে চলেছে দেশের এই এলাকা