সামনের স্বাধীনতা দিবসের আগেই গরাদের পিছনে গান্ধী পরিবার! স্বামীর দাবিতে চাঞ্চল্য
সামনের স্বাধীনতা দিবসের আগেই গান্ধী পরিবার গরাদের পিছনে যাবে। এমনটাই বললেন বিজেপি নেতা সুব্রমনিয়ান স্বামী। ন্যাশনাল হেরল্ড মামলা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি।
সামনের স্বাধীনতা দিবসের আগেই গান্ধী পরিবার গরাদের পিছনে যাবে। এমনটাই বললেন বিজেপি নেতা সুব্রমনিয়ান স্বামী। ন্যাশনাল হেরল্ড মামলা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি।
আয়কর বিভাগের জারি করা ২৭ ডিসেম্বর তারিখের অ্যাসেসমেন্ট অর্ডার তুলে ধরেন তিনি। সেখানে বলা রয়েছে কংগ্রেস দাবি করেছে, তারা ৯০.২৫ কোটি টাকা লোন দিয়েছিল অ্যাসোসিয়েটেড জার্নাল লিমিটেডকে। আয়কর দফতরের তরফে বিষয়টিকে ভুয়ো বলেই বর্ণনা করা হয়েছে। গান্ধী পরিবার নিয়ন্ত্রিত ইয়ং ইন্ডিয়ান কোম্পানিকে সাহায্য করতেই এই টাকা দেওয়া হয়েছিল। কোম্পানির সারা ভারতের জমি এবং বাড়ি দখলে রাখতেই তা করা হয়েছিল।
স্বামী অভিযোগ করে বলেছেন, ১০৫ পাতাক ইনকাম ট্যাক্স অ্যাসেসমেন্ট অর্ডারেই বলা হয়েছে, সনিয়া ও রাহুল গান্ধী নিয়ন্ত্রিত ইয়ং ইন্ডিয়ানের করযোগ্য আয় ৪১৪ কোটি টাকার কিছুটা কম। এই নথির ওপর ভিত্তি করেই ইয়ং ইন্ডিয়ানের কর ছাড়ের সার্টিফিকেট বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সুব্রামনিয়ান স্বামী। এর ফলে গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ প্রমাণিত বলেও দাবি করেছেন তিনি। প্রমাণের ওপর ভিত্তি করেই খুব তাড়াতাড়ি এই মামলার নিষ্পত্তির দাবি করেছেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই মামলা নিয়ে ভিন্ন মত পোষণ করেছেন অভিযুক্তদের আইনজীবী। ২৩ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
স্বামীর দাবি অনুযায়ী, আয়কর অর্ডার থেকে জানা যাচ্ছে, দিল্লি-মুম্বই, লখনৌ-সহ বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে থাকা ইয়ং ইন্ডিয়ানের সম্পত্তির পরিমাণ ২ হাজার কোটি টাকার বেশি।
২০১০ সালে এই ইয়ং ইন্ডিয়ান কোম্পানির গঠন করা হয়। কোম্পানিতে সনিয়া ও রাহুল গান্ধীর ৩৮ শতাংশ করে শেয়ার রয়েছে। কংগ্রেস নেতা অস্কার ফার্নান্ডেজ এবং মোতিলাল ভোরার মিলিত শেয়ারের পরিমাণ ২৪ শতাংশ। ইয়ং ইন্ডিয়ানের প্রোমোটর এবং ডায়রেক্টরের পদে রয়েছেন শ্যাম পিত্রোদা। স্বামীর অভিযোগ, আয়কর বিভাগের অ্যাসেসমেন্ট অর্ডারে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ভডরার নামও উল্লেখ রয়েছে। এই মামলায় অভিযুক্তরা সবাই স্বামীর করা মামলায় ২০১৫ থেকে জামিনে মুক্ত রয়েছেন।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, স্বামীর দাবি, আয়কর বিভাগের ১০৫ পাতার অ্যাসেসমেন্ট অর্ডারে ন্যাশনাল হেরল্ডকে ইয়ং ইন্ডিয়ানের অধিগ্রহণের বিষয়টিকে প্রতারণামূলক বলেই মন্তব্য করা হয়েছে।
সংসদে বাজেট অধিবেশনের আগে সরকার পক্ষ এবং কংগ্রেসের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক যুদ্ধ শুরু হতে যাচ্ছে। কংগ্রেসের তরফে আয়কর বিভাগের অ্যাসেসমেন্ট অর্ডারের কথা অস্বীকার করা হলেও, সুব্রামনিয়ান স্বামীর কাছে পৌঁছে গিয়েছে বলে দাবি।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ২০০৮ সালের শুরুর দিকে, অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড ন্যাশনাল হেরল্ডের প্রকাশনা বন্ধের কথা জানায়। একইসঙ্গে তাদের অধীনে থাকা সম্পত্তির বাণিজ্যিক ব্যবহার শুরু করে। এই সময়েই প্রতারণাপূর্ণ হস্তান্তর প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়। কর ফাঁকি দিয়ে কাজটি করা হয় বলে অভিযোগ।