করোনা ভ্যাকসিন রেসে এগিয়ে ভারতই, তবে সম্ভাবনার পাাপাশি বাড়ছে ঝুঁকির মাত্রাও
গত মে মাসে ভারতের পুনেতে অবস্থিত সিরাম ইনস্টিটিউটে এসে পৌঁছায় একটি সিল করা স্টিলের বাক্স। বাক্সটি এসেছিল অক্সফোর্ড থেকে। আর বাক্সের মধ্যে ছিল এক মিলিলিটারের ছোট্ট একটা শিশিতে কিছু কোষ জাতীয় পদার্থ। এই পদার্থই বর্তমানে বিশ্বকে আলো দেখআনো অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের নমুনা। আর এই আগাম সাহায্যকে কাজে লাগিয়েই ভারত আশা করছে এই ভ্যাকসিন রেসে এগিয়ে থাকার।
ভ্যাকসিন উৎপাদন
এই শিশির পদার্থটিকেই সিরাম ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা পরিণত করছে কয়েক কোটি ভ্যাকসিন। তবে এই ভ্যাকসিন এখনও পরীক্ষিত নয়। চলছে পর্যালোচনা। তবে তার আগের থেকেই এই উৎপাদন শুরুর জুয়া খেলেছে পুনের সংস্থাটি। যদি ফাটকা লেগে যায় তবে ভারতে বিশাল স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবেন সবাই।
অক্সফোর্ডের সঙ্গে চুক্তি পুনের সংস্থার
অক্সফোর্ড ও তার সহকারী অ্যাস্ট্রাজংনেকা এই ভ্যাকসিন প্রস্তুতের জন্য পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে চুক্তি করে রেখেছে। পুনের এই ইনস্টিটিউট বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন তৈরির সংস্থা । অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজ়েনেকার ভ্যাকসিন তার চূড়ান্ত ধাপে সফল হলেই সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া সেই টিকা বানাতে পারবে। মানবদেহে এই টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে।
টীকা প্রয়োগ প্রক্রিয়া
ভারতে যে কোনও করোনা টীকা প্রয়োগ প্রক্রিয়ার অংশ ডিবিটি। সেটি টিকার ফান্ডিং হোক কিংবা সুবিধা, কিংবা নিয়ন্ত্রণমূলক ছাড়পত্র। সব বিষয়ের উপরেই নজর রাখে ডিবিটি। দেশের ৫টি জায়গাকে তৈরি করা হচ্ছে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের তৃতীয় এবং চূড়ান্ত পর্বের মানবদেহে পরীক্ষার জন্য।
আশার আলো দেখাচ্ছে অক্সফোর্ড
উল্লেখ্য, ২০ জুলাই গবেষকরা জানান, অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড ১৯ এর ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষা সফল হয়েছে। এপ্রিল ও মে মাসে প্রথম পর্বে এই ট্রায়াল হয়েছিল ব্রিটেনের পাঁচটি হাসপাতালে ১০৭৭ জন সুস্থ মানুষের উপর। যাদের বয়স ছিল ১৮ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে। ল্যানসেট মেডিকেল জার্নালের প্রকাশিত হয়েছিল এই তথ্য।
দেশে করোনায় মৃত্যু বাড়লেও ব্যবসার সুযোগ কাজে লাগাতে ভেন্টিলেটর নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের