উপত্যকা কার, ভারত না চিনের? কী বলছে গালওয়ান পরিবার! একনজরে ইতিহাস
রসুল গালওয়ানের জন্ম ১৮৭৮ সালে। তিনি মাত্র বারো বছর বয়সে ব্রিটিশ সরকারের পক্ষে তিব্বত, মধ্য এশিয়ার পার্বত্য অঞ্চল, বিশেষত কারাকোরাম রেঞ্জে একজন পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ শুরু করেন। সেই পথপ্রদর্শকের নামেই এই উপত্যকার নামকরণ হয়। আর বর্তমানে এই উপত্যকা ঘিরেই ভারত ও চিনের মধ্যে চরমে উঠেছে উত্তেজনা।
চিন পূর্ব লাদাখের এই অঞ্চলটি তাদের বলে দাবি করে
চিন পূর্ব লাদাখের এই অঞ্চলটি তাদের বলে দাবি করে আসছে। তবে চিনের সেই দাবিকে উড়িয়ে দিলেন রসুল গালওয়ানের নাতি মহম্মদ আমিন গালওয়ান। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, গালওয়ান উপত্যকা ভারতেরই অঙ্গ।
গালওয়ান উপত্যকার নামকরণের নেপথ্যে কোন কারণ?
তবে গালওয়ান উপত্যকার নামকরণের নেপথ্যে কোন কারণ? তিব্বতে রাশিয়ার সম্ভাব্য দখলদারি নিয়ে একটি অভিযান হয়। সেই সময় আকসাই চিনে লর্ড ডানমোর এক দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মুখে পড়েন। রসুল গালওয়ান পথের সন্ধানে গিয়ে নদীর তীরে পৌঁছান। আর নতুন পথ মেলায় দলটি বেঁচে যায়। তখনই লর্ড ডানমোর নদী ও উপত্যকাটির নাম দেন রসুল গালওয়ানের নামে।
১৯৬২ সাল থেকেই বিবাদের মূলে গালওয়ান
চিন সংশ্লিষ্ট এলাকাটি ১৯৬২ সাল থেকেই তাদের বলে দাবি করে আসছে। তবে আমিন গালওয়ানের বক্তব্য, এই ভূখণ্ড ভারতে ছিল এবং ভবিষ্যতেও ভারতেরই থাকবে। আমাদের সেনা জওয়ানরা অসম সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেছেন, আমি তাদের আত্মবলিদানে শ্রদ্ধা জানাই।
সেনা সমাবেশ নিয়ে সড়গরম লাদাখ
প্রসঙ্গত গত প্রায় দুই মাস ধরে গালওয়ান উপত্যকা, হট স্প্রিং, দৌলত বেগ ওলডি এবং ডেমচক এলাকায় চিনা সেনা সমাবেশ নিয়ে সড়গরম ছিল এই অঞ্চল। তার মধ্য গত সপ্তাহে ভারত-চিন সেনা সংঘর্ষে শহিদ হন ২০ ভারতীয় সেনা। চিনের তরফেও প্রায় ৪৫ জন হতাহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
একটি পরিবারের স্বার্থে দেশে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল, ৪৫তম বর্ষপূর্তিতে গান্ধীদের তুলোধোনা অমিত শাহর