গঠনের ১৯ বছর পর সরকারি ভাবে রাজধানী পেল এই রাজ্যটি!
নতুন গ্রীষ্মকালীন রাজধানী পেল উত্তরাখণ্ড। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিভেন্দ্র সিং রাওয়াত ঘোষণা করেলেন যে চামোলি জেলার গৈরসৈনই হবে উত্তরাখণ্ডের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী। এর জেরে এখন থেকে দেহরাদুন আর উত্তরাখণ্ডের স্থায়ী রাজধানীর মর্যাদা উপভোগ করবে না।
১৯ বছর পরও কোনও স্থায়ী রাজধানী ছিল না উত্তরাখণ্ডে
প্রসঙ্গত, রাজ্য হিসাবে আত্মপ্রকাশের ১৯ বছর পরও কোনও স্থায়ী রাজধানী ছিল না উত্তরাখণ্ড। উত্তরপ্রদেশ থেকে আলাদা রাজ্য হিসাবে আত্মপ্রকাশ ২০০০ সালের ৮ নভেম্বর। তবে দেশের ২৭ তম রাজ্য আজও কোনও স্থায়ী রাজধানী পায়নি। আমরা সবাই দেহরাদূনকেই রাজ্যটির রাজধানী হিসাবে জানি। তবে আদতে দেহরাদূন রাজ্যটির অস্থায়ী রাজধানী।
প্রথম থেকেই রাজধানী হিসাবে চেয়েছিল গৈরসৈনকে
পৃথক রাজ্যের জন্যে আন্দোলনকারীরা আসলে প্রথম থেকেই রাজধানী হিসাবে চেয়েছিল গৈরসৈনকে। কারণ এই শহরটি আলমোরা, গারওয়াল ও চামোলির একদম মধ্যে অবস্থিত। তবে এই দাবি আজ পর্যন্ত মানা হয়নি। ২০০০ সালে যখন উত্তরাখণ্ড পৃথক রাজ্য হিসাবে উত্তরপ্রদেশ থেকে পথক হয়, তখন রাজধানী নিয়ে কোনও চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
বেছে নেওয়া হয়েছিল দেহরাদূনকে
সেই সময় রাজ্যের সব থেকে উন্নত শহর ছিল দেহরাদূন। তাই দেহরাদূনকে বেছে নেওয়া হয় রাজ্যের অস্থায়ী রাজধানী হিসাবে। তবে গত প্রায় দুই দশক ধরে রাজ্যটির জন্যে একটি স্থায়ী রাজধানীর খোঁজ চললেও তা পায়নি কোনও সরকারই। পৃথক রাজ্য হওয়ার পর থেকে রাজ্যের ক্ষমতায় বসে বিজেপি, কংগ্রেস উভয় দলই। তবে কোনও দলের পক্ষেই রাজ্ধানী প্রশ্নের জবাব পাওয়া সম্ভব হয়নি।
যা বলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী
এরই মধ্যে মঙ্গলবারই রাওয়াত জোর দিয়েছিলেন যে রাজ্যের স্থায়ী রাজধানীর বিষয়টি সমাধান করা হবে। গৈরসৈন বিধানসভার বাইরে উত্তরাখণ্ড ক্রান্তি দল এবং বাম দলগুলির এই বিষয়ে একটি বিক্ষোভ চলাকালীন এই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।