
পাঁচ রাজ্যে বড় ধাক্কা কংগ্রেসের! নেতৃত্ব বদলের দাবি তুললেন G23-নেতারা
২৪ এর শুরুতেই সম্ভবত দেশে লোকসভা নির্বাচন। কিন্তু সেই নির্বাচনের আগে সদ্য শেষ হয়েছে পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনে বড়সড় ধাক্কা কংগ্রেসের। একটি মাত্র রাজ্য হাতে থাকলেও সেটিও হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে। এমনকি চার রাজ্যের ফলাফলও কার্যত তথৈবচ!

এই অবস্থায় দলের নীতি নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এমনকি নেতৃত্ব নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। আর সেখানে দাঁড়িয়ে নতুন সুর চড়াতে শুরু করল G23-এর সদস্যরা।
তাঁদের দাবি, অবিলম্বে নেতৃত্বে বদল আনতে হবে। শুধু তাই নয়, নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন G23 নেতারা। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পাঁচ রাজ্যের ফলাফলে কংগ্রেসের এহেন ধাক্কার পরেই বৈঠকে বসেন G23 নেতারা। গুলাম নবী আজাদের বাড়িতে একটি বৈঠক হয়। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই বৈঠকে কপিল সিব্বল এবং মনীষ তিওয়ারি পর্যন্ত উপস্থিত ছিলেন। আর সেখানেই কংগ্রেস নেতৃত্বে বদলের দাবি উঠেছে বলে জানা যাচ্ছে।
বলে রাখা প্রয়োজন, এহেন ফলাফল সামনে আসার আগে অধ্যক্ষ ইস্যুতে রাহুল গান্ধীর বাড়িতে একটি বৈঠক ইতিমধ্যে হয়েছে। আর সেই বৈঠকে ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেলা, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, কেসি বেনুগোপাল সহ একাধিক দলের শীর্ষ এবং বর্ষীয়ান নেতা উপস্থিত ছিলেন। আর সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে Congress Election Committee (CEC) ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত আগামী অধ্যক্ষ নির্বাচিত করতে পারবে।
অন্যদিকে কংগ্রেসের জেনারেল সেক্রেটারি এবং গুজরাট ইনচার্জ রঘু শর্মা বলেন, আজ গোটা দেশে বিজেপির বিরুদ্ধে কেউ লড়াই করছে তা করছেন রাহুল গান্ধী। যে ইস্যুগুলিতে নিয়ে সাধারণ মানুষ ব্যতিব্যস্ত সেগুলিকে নিয়ে লড়াই করছেন একমাত্র রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
অন্যদিকে দলের এই অবস্থার পরেই জরুরি বৈঠক ডেকেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। কেন দলের এই অবস্থা তা নিয়ে সমীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। আর সেই কারণেই জরুরি ভিত্তিতে এই বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই বৈঠকে সমস্ত শীর্ষ নেতৃত্বকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই বৈঠকে পাঁচ রাজ্যের হারের কারণও বিশ্লেষণ করে দেখা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।