বিমান দুর্ঘটনার পর নেতাজির বেঁচে থাকার নতুন প্রমাণ সামনে এল!
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে নিয়ে এক ফরাসি গোপন রিপোর্ট সামনে এসেছে। তা লিখেছেন প্রখ্যাত ঐতিহাসিক তথা ভিয়েতনাম বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ক্রিস্টোফার গোসচা।
লখনৌ, ২১ ডিসেম্বর : নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ১৯৪৫ সালের অগাস্টে বিমান দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন। এই তথ্যটি নিয়ে বহুদিন ধরে বিতর্ক অব্যাহত। কিছু মানুষ সেই তথ্য বিশ্বাস করেন, কেউ তাতে আমল দেন না।
এক ফরাসি গোপন রিপোর্ট সামনে এসেছে যা লিখেছেন প্রখ্যাত ঐতিহাসিক তথা ভিয়েতনাম বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ক্রিস্টোফার গোসচা। ১৯৯৯ সালে তাঁর লেখা 'থাইল্যান্ড অ্যান্ড দ্য সাউথইস্ট এশিয়ান নেটওয়ার্কস অব দ্য ভিয়েতনামিস রেভ্যুলিউশন'-এ নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে।
প্রফেসর ক্রিস্টোফারের লেখা বইয়ের রেফারেন্স টেনে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর উপরে গবেষণা করা গবেষক অধীর সোম জানিয়েছেন, ১৯৪৫ সালের নভেম্বরে সম্ভবত হ্যানোইয়ে ছিলেন নেতাজি।
এই বিষয়ে প্রফেসর গোসচার সঙ্গে আলোচনাও হয়েছে এবং এই বিষয়টি নিয়ে গবেষক সোম গোসচাকে গত ১২ অক্টোবর ইমেলও করেছেন। এবং ফরাসি ফাইলে 'চন্দ্র বোস' পরিচয় নিয়ে খোলসা করে জানতে চেয়েছেন। কারণ গোসচা যার উল্লেখ করেছেন তাঁকে চন্দ্র বোস বলে সম্বোধন করেছেন।
তবে গবেষক সোমের মতে, তিনি যতদূর জানেন সেই সময়ে নেতাজির ভাই শরৎ চন্দ্র বসু জেলে ছিলেন। অগাস্ট থেকে ডিসেম্বর তার জেলে কেটেছিল। পরে অবশ্য তিনি ফ্রান্সের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভিয়েতনামিদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।
ফলে এটা নিশ্চিত যে শরৎ বোস সেইসময়ে হ্যানোইয়ে ছিলেন না। ফলে ইমেলে গোসচার কাছে এই চন্দ্র বোসের বিষয়েই আরও তথ্য চেয়েছেন গবেষক অধীর সোম। তবে বদলে গোসচা জানিয়েছেন, তিনি ত্রিশ বছর আগে গবেষণা চালিয়েছেন। ফলে এই বিষয়টি নিয়ে তিনি এতদিন পরে বিশেষ সাহায্য করতে পারবেন না। আর তাছাড়া তিনি এখন ফ্রান্সেও থাকেন না।
তবে গবেষক সোম নিশ্চিত, ১৯৪৫ সালের নভেম্বরে যে চন্দ্র বোসের কথা বলা হচ্ছে তিনি শরৎ নন সুভাষ। কারণ সেই সময়েই নেতাজির হ্যানোই থেকে রাশিয়া যাওয়ার কথা ছিল যা চন্দ্র বোস গিয়েছিলেন। ফলে এই তথ্যকে সামনে রেখে ভারত সরকারের উচিত ফরাসি সরকারের কাছে এই বিষয়ে আরও তথ্য জোগাড় করা, এমনটাই মত অধীর সোমের।